বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭.৯৯ মেট্রিক টন কয়লা (যার আনুমানিক মূল্য ২৪৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা) আত্মসাতের অভিযোগে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লিমিটেডের সাবেক সাত ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ২২ জনের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরন করেছে আদালত।
আজ বুধবার দুপুরে দিনাজপুরের স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মাহমুদুল করিম তদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ প্রদান করেন। এই ২২জন কর্মকর্তা উচ্চ আদালতের অন্তবর্তীকালীন জামিনের ছিলেন। দুদকের করা মামলার সাবেক ৭জন এমডিসহ ২২জন কর্মকর্তা আদালতে জামিনের জন্য আদালতে উপস্থিত হয়। আদালত সেই জামিন না মঞ্জুর করে সকলকে জেল হাজতে প্রেরন করে। উক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির সাবেক সাতজন অভিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচলকরা (এমডি) হলেন- মাহবুবুর রহমান, আবদুল আজিজ খান, প্রকৌশলী খুরশীদুল হাসান, প্রকৌশলী কামরুজ্জামান, আমিনুজ্জামান, প্রকৌশলী এসএম নুরুল আওরঙ্গজেব ও প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহমেদ।
উল্লেখ্য, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে কয়লা উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় ২০১৮ সালের ২৪ জুলাই বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির পক্ষে ম্যানেজার (প্রশাসন) মোহাম্মদ আনিছুর রহমান বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে পার্বতীপুর মডেল থানায় মামলা করেছিলেন।
পার্বতীপুর মডেল থানার মামলা নয়-৩০, তাং-২৪/০৭/২০১৮ ইং। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০০৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই পর্যন্ত ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৪ টন কয়লা উধাও হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ২৩০ কোটি টাকা। ওই মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় দুদককে। দুদকের উপ-পরিচালক মোঃ সামসুল আলম এই তদন্ত শেষে চার্জশিট তৈরী করেন। চার্জশিটে এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৪ জনকে আসামি করা হয়। এছাড়া তদন্তে নতুন করে ৭ জন সাবেক এমডিসহ ৯ জনের নাম বেরিয়ে আসে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।