মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বেলজিয়ামে ২০১১ সালে বোরকা এবং নেকাব নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং ওই সময় থেকে এ পর্যন্ত বোরকা কিংবা নেকাব পরার কারণে ৬০ জন নারী বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন
ইনকিলাব ডেস্ক : ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় জর্জরিত হলেও সেসব দেশে আবার নারীদের বোরকা, নেকাব এবং বুরকিনি পরা নিয়ে কড়াকড়ির পদক্ষেপে বিতর্ক উস্কে দিয়েছে। ব্রিটেন, জার্মানিতে বোরকা নিষিদ্ধের দাবি সাম্প্রতিক সময়ে আরও জোরাল হচ্ছে। কিন্তু এ পদক্ষেপ অত্যাচার, অবিচার বলেও মত প্রকাশ করেছেন অনেকেই। বোরকা, নেকাব, বুরকিনি নিষিদ্ধের পক্ষে-বিপক্ষে ইউরোপের দেশগুলোতে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। যে সব দেশ এ তিন ধরনের পর্দা প্রথা নিষিদ্ধ করেছে আর যেসব দেশে এগুলো নিষিদ্ধ করা নিয়ে আলোচনা চলছে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হল অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, চেক রিপাবলিক, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, স্পেন, নেদারল্যান্ডস।
অস্ট্রিয়ার রক্ষণশীল রাজনীতিবিদরা বোরকা নিষিদ্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। বোরকা, নেকাব কিংবা বুরকিনি পরা নারীরা সমাজের সঙ্গে একাত্ম হতে পারছে না বলে অভিমত তাদের। সাংবিধানিক আইনের আওতায় এ ধরনের পর্দা নিষিদ্ধ করতে চান অস্ট্রিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু অস্ট্রিয়ার সুপ্রিম কোর্ট অব জাস্টিস বলছে, বোরকা বা নেকাব নিষিদ্ধ করার কোনও আইন নেই। তবে সম্প্রতি নেকাব পরার অপরাধে নোটারি অফিসের এক নারীর চাকরি চলে যাওয়ার মামলায় আদালত নিয়োগকর্তার সঙ্গেই একমত পোষণ করেছে। বেলজিয়াম ২০১১ সালেই বোরকা এবং নেকাব নিষিদ্ধ করেছে এবং ওই সময় থেকে এ পর্যন্ত বোরকা কিংবা নেকাব পরার কারণে ৬০ জন নারী বিচারের মুখোমুখি হয়েছে। দেশটিতে বহু পৌর সুইমিং পুলে নারীদের বুরকিনি পরাও নিষিদ্ধ। তবে সমুদ্র সৈকতে বুরকিনি নিষিদ্ধ নয়। বেলজিয়ামের কট্টর ডানপন্থি দল এন-ভিএ বুরকিনি পুরোপুরিই নিষিদ্ধ করার দাবি জানাচ্ছে। ফরাসিভাষী দল লিবারেল পার্টিও বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে। চেক রিপাবলিকে বোরকা এবং বুরকিনি নিষিদ্ধ। ২০১৩ সালে প্রাগের একটি স্কুলে দুই শিক্ষার্থীর হিজাব পরা নিষিদ্ধ করা হয়। ওই দুইজনের একজন এ বছর স্কুলটির বিরুদ্ধে মামলা করেছে এবং স্কুলের ওই পদক্ষেপের জন্য ক্ষমা দাবি করেছে। তবে মামলার রায় এখনও হয়নি। ২০১৩ সালে একটি শহরের একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের এক শিক্ষকের হিজাব পরা নিয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা বিক্ষোভও করে। তবে অন্যান্য অভিভাবক এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সমর্থনের কারণে ওই শিক্ষক চাকরিচ্যুত হননি। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ফ্রান্সেই ২০১০ সালে প্রথম জনসম্মুখে নারীদের বোরকা এবং নেকাব নিষিদ্ধ করা হয়। এ মুহূর্তে ফ্রান্সে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় উঠে এসেছে বুরকিনি। মুসলিম নারীদের সাঁতারের পোশাক বুরকিনি নিষিদ্ধ করা নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কের মধ্যেই ফরাসি পুলিশকে সেই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করছে। বুরকিনি পরার জন্য সমুদ্রসৈকেত নারীদের জরিমানা করছে পুলিশ। গত মাসে নিস শহরে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর বুরকিনি নিষিদ্ধ করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শহরটির মেয়র। কিন্তু বুরকিনি নিষিদ্ধ করা নিয়ে ফ্রান্সে বিতর্ক বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন সে দেশে মুসলিমদের সংগঠন। তারা এ নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে এরই মধ্যে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থও হয়েছে। রয়টার্স, এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।