নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্বাগতিক দলের ওপর থেকে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ দূরে রাখতে, অনেক বছর ধরেই টেস্ট ক্রিকেটে রাখা হয় নিরপেক্ষ দুই আম্পায়ার। কিন্তু করোনাকালীন সময়ে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাসহ নানান প্রটোকলজনিত সমস্যা সামনে আসায়, স্থানীয় আম্পায়ার দিয়েই ম্যাচ পরিচালনার অনুমতি দিয়ে রেখছে আইসিসি। কিন্তু বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার সিরিজকে সামনে রেখে দেখা দিয়েছে এই আম্পায়ারবিষয়ক সমস্যা। কেননা বাংলাদেশের কোনো আম্পায়ার আইসিসির এলিট প্যানেলভুক্ত নয়। এছাড়া কোনো উদীয়মান আম্পায়ারও নেই যারা আইসিসির রাডারে রয়েছেন।
তাহলে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে আম্পায়ারিংয়ের কী হবে? এ সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছে আইসিসি। তারাই আম্পায়ার ও ম্যাচ অফিসিয়াল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আসন্ন এ দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলভুক্ত রিচার্ড কেটেলবোরোকে পাঠাবে আইসিসি।
এছাড়া আরও দুজন ম্যাচ অফিসিয়াল হিসেবে পাঠানো হবে ইংল্যান্ডের হেনরি চার্লস এলিসন এবং কলিন স্টুয়ার্ট টেনান্টকে। তবে এক্ষেত্রে রয়েছে করোনাভাইরাসের কোয়ারেন্টিনজনিত বাধা। যুক্তরাজ্য থেকে আসা যেকোনো ব্যক্তির জন্য ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক করেছে বাংলাদেশ সরকার। যে কারণে টাইগারদের নতুন ব্যাটিং কোচ জন লুইসসহ আসন্ন সিরিজের প্রায় ৬১ জন সদস্যের কোয়ারেন্টিন হয়ে পড়েছে বাধ্যতামূলক।
এ তালিকায় রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ স্কোয়াডের সকল খেলোয়াড়, স্টাফ ও অন্যান্য সদস্য, টিভি ক্রু এবং আইসিসি থেকে পাঠানো তিন অফিসিয়াল। তাদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হলে যথাসময়ের সিরিজ শুরু করা সম্ভব হবে না। তাই সরকারের কাছে বিশেষ ব্যবস্থায় তিনদিনের কোয়ারেন্টিনের জন্য আবেদন করেছে বিসিবি।
এ অনুমতি পেয়ে গেলে পরপর দুইটি করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ হলেই কোয়ারেন্টিন থেকে বের হতে পারবেন বিদেশ থেকে আসা সিরিজ সংশ্লিষ্ট সবাই। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের এক সূত্র নিশ্চিত করেছে এ তথ্য। সেই সূত্রের ভাষ্য, ‘আমাদের কোনো আইসিসি এলিট আম্পায়ার নেই। এছাড়া এমার্জিং আম্পায়ারও নেই কোনো। তাই আইসিসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য এলিট প্যানেল আম্পায়ার পাঠানোর। তার সঙ্গে একজন স্থানীয় আম্পায়ারের টেস্ট অভিষেক হতে পারে।’
টেস্ট সিরিজের জন্য রিচার্ড কেটেলবোরো ও দুই অফিসিয়ালকে পাঠালেও, তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ পরিচালনার দায়িত্ব থাকবে স্থানীয় আম্পায়ারদের ওপরই। সেই ম্যাচ তিনটি হবে ২০, ২২ ও ২৫ জানুয়ারি। এর পরেই শুরু হবে টেস্ট সিরিজ। প্রথমটি হবে ৩ ফেব্রুয়ারি, পরেরটি ১১ ফেব্রুয়ারি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।