পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হেফাজতে ইসলামের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদী বলেছেন, ইদানীং অনেক জায়গা থেকে দুঃসংবাদ আসছে যে ওয়াজ মাহফিল বন্ধ। আলেমরা তো কোরআন হাদিসের কথা বলে। সেটাকে যদি সরকারবিরোধী-রাষ্ট্রবিরোধী মনে করে তাহলে তো কিছু করার নেই। কিছু বক্তার নামের তালিকা করা হচ্ছে। কিন্তু কেন, কী কারণে করা হচ্ছে? যারা দোষী তাদের বক্তব্য ধরে সরকারের আইন-কানুন দিয়ে ব্যবস্থা নেন। কিন্তু ঢালাওভাবে ওয়াজ মাহফিল বন্ধ কেন? গতকাল রোববার রাজধানীর খিলগাঁওয়ে মাখজানুল উলুম মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
নুরুল ইসলাম জিহাদী বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য সুশৃঙ্খলভাবে আন্দোলন করা। কিন্তু এই যে মাদরাসার ওপরে হামলা, আলেম-ওলামাদের ওপরে হামলা করা হচ্ছে। এভাবে বার বার যদি আঘাত আসতে থাকে তাহলে ওলামায়ে কেরাম, ছাত্রসমাজ, হেফাজতে ইসলাম নাক-কান বন্ধ করে নীরবতার ভ‚মিকা পালন করতে পারবে না। তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যেকের ভেতরে জজবা আছে, ক্ষোভ থাকে। সেই ক্ষোভ প্রকাশ করার জন্য আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি দিতে পারি। আল্লাহ সবাইকে শুভবুদ্ধি দান করুক। আমরা আইন হাতে তুলে নেব না, আন্দোলন করব, সরকারকে জানাব, সরকারকে বোঝাব।
হেফাজতে ইসলামের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, ইসলামবিরোধী শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে আন্দোলন করার জন্য আল্লামা আহমদ শফী হেফাজতে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই সংগঠন সরকারবিরোধী কিংবা নির্বাচনমুখী কোনো সংগঠন নয়। তিনি বলেন, আমরা সরকারকে জানাতে চাই, তারা কেন আইন হাতে তুলে নিলো, তারা আইন হাতে তুলে নেয়ার কে? এর ব্যবস্থা সরকারকে করতে হবে। আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
নুরুল ইসলাম জিহাদী বলেন, আমরা জানতে পেরেছি কওমি মাদরাসাগুলোর ক্ষতিসাধনের জন্য বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করা হচ্ছে। চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। কওমি মাদরাসার উন্নতি কেন, তাদের প্রতি মানুষের আগ্রহ কেন, শ্রদ্ধাবোধ কেন? এটাকে কেন্দ্র করে কওমি মাদরাসার আলেম ও ছাত্রদের চারিত্রিক অভিযোগে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। দেশের জনসাধারণ, মুসলমান দানশীল যারা মাদরাসাকে ভালোবাসে তাদের থেকে দূরে সরিয়ে নেয়ার একটা চক্রান্ত।
আল্লামা শফীর মৃত্যুর তিন মাস পরে ৩৬ জনের বিরুদ্ধে একটা মামলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমি অবাক হয়ে যাই এই মামলা করার সময় তাদের মনটা কাঁপেনি। কোনো জায়গার মধ্যে অস্বাভাবিক মৃত্যুর শব্দ তো নেই, গন্ধও নেই। তার বড় ছেলে সবার সামনে বলেছেন, তার পিতার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। আমি বলতে চাই, এই মিথ্যা মামলা থেকে তারা যেন রেহাই পান এবং যারা মিথ্যা মামলা করেছেন তাদের যেন ব্যবস্থা নেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলামের সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।