গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
দেশে ৫ম বারের মতো পালিত হলো জরায়ুমুখের ক্যান্সার সচেতনতা দিবস। প্রতি বছর জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় শনিবার ‘মার্চ ফর মাদার’ নামের মোর্চার উদ্যোগে এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। এ ছাড়া পুরো জানুয়ারি মাস বিশ্বে জরায়ু মুখের ক্যান্সার সচেতনতা মাস হিসেবে উদযাপিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে মাসব্যাপি কর্মসূচীর উদ্বোধন উপলক্ষে শনিবার (৯ জানুয়ারি) এক আলোচনা সভার আয়োজন হয়। ‘এইচপিভি নামের দুষ্ট ভাইরাসকে জানুন’ প্রতিপাদ্যে এই আলোচনায় সভায় দেশের খ্যাতনামা স্ত্রীরোগ, ক্যান্সার, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী ও নারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এই আলোচনায় অংশ নেন।
খ্যাতি সম্পন্ন স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর টি এ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও জননীর জন্য পদযাত্রার প্রধান সমন্বয়কারী ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিনের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে এইচপিভি ভাইরাস ও এর সাথে জরায়ুমুখসহ অন্যান্য ক্যান্সার ও নন-ক্যান্সার স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে তিনটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসএমএমইউ’র গাইনি অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. আশরাফুন্নেসা, জাতীয় ক্যান্সার ইন্সটিটিউটের গাইনি অনকোলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. রোকেয়া আনোয়ার ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি অনকোলজি ইউনিটের সহযোগী প্রফেসর ডা. কাশেফা খাতুন।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ওজিএসবি’র সাবেক সভাপতি প্রফেসর রওশন আরা বেগম ও বর্তমান সভাপতি প্রফেসর সামিনা চৌধুরী, কমিউনিটি অনকোলজি সেন্টার ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সাবেরা খাতুন, ও আইডাব্লিউসিএ’র জাতীয় সাধারণ সম্পাদক হেলেন মনিষা সরকার, পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর শারমিন ইয়াসমিন, ক্যান্সার প্রতিরোধ ও গবেষণা কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক মোসাররত সৌরভ প্রমুখ।
সভায় ‘ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার- আইএআরসি’র সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশে নারী ক্যান্সার রোগীদের মধ্যে স্তন ক্যান্সারের পরেই জরায়ুমুখের ক্যান্সারের অবস্থান। প্রতি বছর এই ক্যান্সারে ৮ হাজার ৬৮ জন নারী নতুন করে এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হন, নারী ক্যান্সার রোগীর প্রায় ১২ শতাংশ এবং মৃত্যু হয় ৫ হাজার ২১৪ জন।
বক্তারা বলেন, প্রাথমিক প্রতিরোধের জন্য জরুরি হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) ভ্যাকসিন দেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। আমদানিকারক একটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে কার্যক্রম গুটিয়ে নিয়েছে। অন্যটির আমদানি বেশকিছুদিন ধরে বন্ধ রয়েছে । একাধিক কোম্পানির মাধ্যমে এই ভ্যাকসিন সহজলভ্য করার ব্যাপারে সরকারের উদ্যোগ কামনা করছি। সরকার আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা সহযোগিতায় গাজীপুর জেলার ৩৩ হাজার কিশোরীকে বিনামূল্যে এই ভ্যাকসিন প্রদান করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।