মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
টুইটার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বাতিল করে দেয়ার কিছুক্ষণ পর ট্রাম্প ঘোষণা করলেন, তিনি নীরব থাকবেন না। নতুন একটি প্লাটফর্ম তৈরির কথা জানান তিনি। টুইটার অ্যাকাউন্ট-এ প্রকাশিত হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট দাবি করেছেন, টুইটার তাকে ও তার সমর্থকদের চুপ করিয়ে দিতে ‘ডেমোক্র্যাট ও উগ্র বামদের’ সাথে কাজ করছে। তবে বিবৃতিটি ওই অ্যাকাউন্ট থেকে দ্রুত সরিয়ে ফেলা হয়। ট্রাম্প বলেন, ‘আমি এমন কিছু ঘটার প‚র্বাভাস দিয়েছিলাম। আমরা আরো বিভিন্ন কিছু সাইটের সাথে আলোচনা করছি। শিগগির আমাদের একটি বড় ঘোষণা আসবে। নিকট ভবিষ্যতে আমরা নিজেদের প্লাটফর্ম তৈরির সম্ভাবনার দিকে নজর দিচ্ছি। আমরা নীরব থাকব না।’ তিনি আরো বলেন, ‘টুইটার স্বাধীনভাবে বক্তব্য দেয়া যায় না। তারা সবাই উগ্র বামপন্থী প্লাটফর্মের প্রতিনিধিত্ব করে। টুইটারে বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ কিছু লোক নির্দ্বিধায় কথা বলতে পারে।’ এর আগে, সহিংসতা আরো ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় শুক্রবার ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বাতিল করে প্রতিষ্ঠানটি। আনাদোলু এজেন্সি এ খবর জানায়। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করে বলেছেন, রাজনৈতিক শত্রুদের সঙ্গে যোগসাজশ করে টুইটার তার কণ্ঠস্বর বন্ধের ষড়যন্ত্র করছে। টুইটার তার অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়ার পর শুক্রবার তিনি এ অভিযোগ করেন। ট্রাম্প বলেন, আমাদের কণ্ঠরোধ করে দেওয়ার প্রচেষ্টায় টুইটার আরো একধাপ এগিয়ে গেল। টুইটারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ডেমোক্র্যাট এবং বামপন্থীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই কাজ করেছে। তবে আমরা চুপ করে বসে থাকব না। স্বাধীন মতপ্রকাশে টুইটার এখন সঠিক জায়গা নয়। এমন পর্যায়ে চলে যাচ্ছে, যেখানে দুষ্টু লোকদের নির্দ্বিধায় কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে। এদিকে টুইটারের এ উদ্যোগ আগে থেকেই আঁচ করে ট্রাম্প তার এ বক্তব্য বিবৃতি হিসেবে হোয়াইট হাউসের প্রেস অফিস থেকেও প্রচার করেছেন। ট্রাম্প একইসঙ্গে ভার্চুয়ালি নতুন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তার ফলোয়ারদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সাইটের সঙ্গে আলোচনা করছি। খুব দ্রুত বড় ধরনের ঘোষণা আসবে। গত বুধবার মার্কিন আইনসভা ভবন বা ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্প-সমর্থকদের ন্যক্কারজনক হামলার পর পাঁচজন মারা যান। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এ হামলা নজিরবিহীন। এ হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রে তো বটেই, বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। মার্কিন আইনপ্রণেতাদের অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্পের বিদ্বেষম‚লক প্রচার বন্ধের আহবান জানান। এমনকি গত বৃহস্পতিবার সাবেক মার্কিন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা টুইট করে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট একেবারে বন্ধ করে দেওয়ার আহবান জানান। রয়টার্স, আনাদোলু, সিএনএন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।