নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ফেডারেশন কাপ দিয়ে গত ২২ ডিসেম্বর শুরু হয়েছে ঘরোয়া ফুটবলের নতুন মৌসুম। আর একদিন পরই বসুন্ধরা কিংস ও সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের মধ্যকার ফাইনাল দিয়ে শেষ হবে টুর্নামেন্ট। কিন্তু মৌসুমের শুরুতেই রেফারিং বিতর্ক প্রশ্নবিদ্ধ করেছে ঘরোয়া ফুটবলকে! দেশের ফুটবলবোদ্ধাদের মতে ফেডারেশন কাপের গ্রুপ পর্ব থেকে সেমিফাইনাল পর্যন্ত অনেক ম্যাচেই বাজে রেফারিং হয়েছে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে চলমান ফেডারেশন কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বসুন্ধরা কিংস ও ঢাকা আবাহনী লিমিটেডের মধ্যকার ম্যাচে আবাহনীর একটি গোল বাতিলকে কেন্দ্র করে এখন সমালোচনার ঝড় বইছে দেশের ফুটবলাঙ্গনে। বিশেষ করে আবাহনী সমর্থকরা এ ব্যাপারে সরব। যদিও ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে ওই ম্যাচে আবাহনী অধিনায়ক নাবীব নেওয়াজ জীবন পরিস্কার অফসাইডে থেকেই গোলটি করেছিলেন। তাই ম্যাচের রেফারি সুজিত ব্যানার্জী গোল বাতিলের সিদ্ধান্ত দেন। তবে সহকারী রেফারি ইকবাল আলম দেরিতে পতাকা তুলে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। যে কারণে মাঠে উত্তেজনার দেখা মেলে, রেফারিদের পড়তে হয় আবাহনীর খেলোয়াড়দের রোষানলে। গোল বাতিলের পরই ইকবাল আলমকে সজোরে ধাক্কা দেন আবাহনী ডিফেন্ডার টুটল হোসেন বাদশা। বিষয়টি যুক্ত করে একটি প্রতিবেদন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কম্পিটিশন্স কমিটির কাছে পাঠিয়েছে রেফারিজ কমিটি। যা পরে যাবে ডিসিপ্লিনারী কমিটিতে। সেমিতে বসুন্ধরা ৩-১ গোলের জয় পেলে আবাহনী এ হারের জন্য পুরো দায় দিচ্ছে রেফারিকে। তাই প্রতিবাদ স্বরুপ ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসেননি আবাহনী কোচ ও অধিনায়ক। তাদের অভিযোগ পুরো টুর্নামেন্টে রেফারিরা পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছেন দলগুলো বিরুদ্ধে।
শুধু বসুন্ধরা-আবাহনী ম্যাচকে ঘিরেই নয় গ্রুপ পর্ব এবং কোয়ার্টার ফাইনালেও আছে রেফারি বিতর্ক। শেষ আটের ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীর এক খেলোয়াড়কে জোরে ধাক্কা দিয়েছিলেন শেখ রাসেলের খেলোয়াড়। ঘটনাটি এড়িয়ে যাওয়ায় ওই ম্যাচের রেফারিকে শোকজ করা হয়েছে। আর গ্রæপ পর্বে আবাহনী-মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের মধ্যকার ম্যাচে ভুল সিদ্ধান্ত দেয়ায় সহকারী এক রেফারিকে টুর্নামেন্ট থেকে অব্যাহতি দিয়েছে আয়োজকরা। এ দু’টি ছাড়া ফেডারেশন কাপে আর কোনো রেফারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি বাফুফে।
তবে ঘটনা যাই হোক আবাহনী-বসুন্ধরা জাতীয় সেমিফাইনালে রেফারির সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল বলেই মনে করেন বাফুফের রেফারিজ কমিটির অন্যতম কর্মকর্তা আজাদুর রহমান। গতকাল তিনি বলেন,‘নাম্বার নাইন থেকে যখন জীবন বল পেয়েছে,তখন সে কিন্তু অফসাইড পজিশনে ছিল। এই পজিশন থেকে সে যখন বলটা খেলতে গেছে, তখন জিকো এগিয়ে আসে। জিকোকে পরাস্ত করার সময় বল জীবনের হাতে লাগে। যেটা ফুটবলের নতুন আইনের ভাষায় বলা হয় অ্যাটাকার হ্যান্ডবল। এই অবস্থা থেকে যদি আপনি দ্রুত স্কোর করেন, তাহলে এটা একটা অপরাধ। অথবা গোল দেওয়ার সুযোগ করে দেন এটাও কিন্তু অপরাধ। রেফারি সেই সময় অফসাইড দিয়েছিলেন। কিন্তু সহকারী রেফারি বাঁ হাতে ফ্লাগ উঠিয়েছে। আসলে ওই সময়টা খব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তার উচিত ছিল ডান হাতে ফ্লাগ ওঠানো। এটা পরিস্কার সিগন্যাল দিয়েছে। এখানে ভুলবোঝার কোনো অবকাশ নাই। গোল বাতিল সঠিক সিদ্ধান্ত।’
আবাহনী কর্তারা মনে করেন ১২০ মিনিটে জীবনের করা সেই গোলটি বাতিল না হলে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতে পারতো। তাদের যত ক্ষোভ রেফারির উপর। তাই তো আবাহনীর ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপুর দাবি গোল হওয়ার পর রেফারি অফসাইডের বাঁশি বাজিয়েছেন। তার কথায়,‘রেফারির ভূমিকা আপনারা সবাই দেখছেন,এখানে আমার নতুন করে কিছু বলার নেই? জীবন বল টাচ করার সঙ্গে সঙ্গেই তো সহকারী রেফারি ফ্লাগ ওঠাবেন। বলটা গোললাইন অতিক্রমের পর কেন ফ্লাগটা ওঠাবেন তিনি? এখন কি করার আছে? ওই রেজাল্ট কি পরিবর্তন করে দিবে কেউ? রেজাল্ট তো যা হওয়ার তা হয়েই গেছে।’
রুপু জানান, পেশাদার লিগ কমিটির সভায় আজ রেফারিং নিয়ে কথা বলবেন তিনি। স্থানীয় রেফারিরা যেহেতু একটি পক্ষ নিয়ে খেলা চালান সেহেতু বিদেশি রেফারির দাবী তোলেন রুপু। শুধু বসুন্ধরার বিপক্ষে ম্যাচেই নয়, উত্তর বারিধারা ম্যাচেও বাজে রেফারিং হয়েছে বলে মনে করেন আবাহনী ম্যানেজার। তাদের বিরুদ্ধে রেফারিকে প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলে সাজানো নাটক করে নিজেদের কাজটা অন্য কেউ হাসিল করছে বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।