গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
স্টাফ রিপোর্টার : জালিয়াতি তথ্য দিয়ে রিট আবেদন করে হাইকোর্ট থেকে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ বিষয়ে নিজেদের পক্ষে আদেশ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ২৪ ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে হাইকোর্টের এ আদেশ স্থগিত চেয়ে শিক্ষা অধিদপ্তর সুপ্রিমকোর্টে আপিল করে। আগামী রোববার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে বিষয়টি শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে ভাঙ্গা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে রিটকারী ২৪ ব্যক্তিকে নিজ নিজ স্কুলে দায়িত্ব পালনের সুযোগ দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাদেরকে হয়রানি না করতেও আদেশ দেন আদালত।
রিটকারী ২৪ জন হলেন- নাজমুল হুদা, আবুল কালাম, শাহনাজ লিপি, নাহিদা আক্তার, ফেরদৌসী, রুনা, ইমারত হোসেইন, মোস্তাফিজুর রহমান, শিখা খানম, সালেহা পারভীন, রাজিয়া সুলতানা, কবিতা রাণী রায়, সোমা চৌধুরী, রূপালি আক্তার, আফরোজা খাতুন, মাহাদি হাসান, সুজন শেখ, আকরামুল ইসলাম, মো. আলিমুজ্জামান, জিয়াউর রহমান, তারা রানী বারি, ফাহিমা আক্তার, লাইজু আক্তার, শিরিন আক্তারি। রিটকারীদের দাবি, তারা ২০০৯ সাল থেকে এসব স্কুলে কর্মরত। পঞ্চম পদে তাদের নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু জাতীয়করণের সময় তাদের নাম বাদ পড়ে। অথচ শিক্ষা কর্মকর্তার প্রতিবেদনে বলা হয়, রিট আবেদনে বর্ণিত কোনো শিক্ষক সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়গুলোতে কর্মরত নাই। ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, সভায় ২৪টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের প্রদত্ত লিখিত প্রত্যয়ন পর্যালোচনায় দেখা যায়, এ ধরণের কোনো শিক্ষকদের নিয়োগ দেয়া হয়নি বা কোনো শিক্ষক কর্মরত নাই। ওই ২৪টি স্কুলে ২৩টি স্কুলের শিক্ষক হাজিরা খাতায়ও এ ধরণের কোনো শিক্ষকের স্বাক্ষর নাই। কেবল একটি বিদ্যালয়ে গত বছরের এপ্রিল মাস থেকে একজন শিক্ষক কর্মরত আছেন বলে জানা গেছে। তবে তার নিয়োগ সংক্রান্ত কোনো দালিলিক প্রমাণ দেখাতে পারেননি। অনিয়ম দূর্নীতির বিষয়টি জানতে পেরে পরবর্তীতে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিমকোর্টে আপিল করেন শিক্ষা অধিদফতর।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আইন কর্মকর্তা মজিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আদালতে ২৪ জন শিক্ষক যে সকল নথিপত্র জমা দিয়েছে সেগুলো মিথ্যা। ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করে তারা যে আদেশ নিয়েছে, সেটির বিরুদ্ধে আমরা সুপ্রিমকোর্টে আপিল করেছি। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে মামলাটি শুনানির জন্য ২৮ আগষ্ট দিন ধার্য আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।