মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইসরাইল অধিকৃত ফিলিস্তিন ও ভারতশাসিত কাশ্মিরে বর্তমানে একই পরিস্থিতি বিরাজমান করছে। ফিলিস্তিনের মতোই নির্যাতিত ভারতশাসিত কাশ্মির বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বুধবার তুরস্কের এক টেলিভিশনে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইসরায়েলিরা ফিলিস্তিনের সাথে যা করছে এর পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তান ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে পারে না। ইহুদিবাদী রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি না দেয়ার পেছনে তিনি দু’টি কারণ উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, প্রথমত কাশ্মিরে আর ফিলিস্তিনে বর্তমানে একই পরিস্থিতি রয়েছে। আমরা যদি দখলদার ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেই তবে কাশ্মিরের প্রতি ভারতের কর্মকাণ্ডকে সমর্থন জানানো হবে। যা সম্পূর্ণভাবে আমাদের রাষ্ট্রের নৈতিকতার লঙ্ঘন।
দ্বিতীয়ত, পাকিস্তানের নীতি প্রণয়নের জনক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর কথা স্মরণ করে ইমরান খান বলেন, এ বিষয়ে তিনি বলছিলেন, যতদিন না ফিলিস্তিনের মাটি থেকে অন্যায় নিমূর্ল হচ্ছে এবং তারা তাদের ভূখণ্ড ফিরে না পাচ্ছে ততদিন পাকিস্তান ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে না। পশ্চিমাদের ইসলামোফোবিয়ার বিষয়ে ইমরান খান বলেন, পাশ্চাত্য নেতারা যারা ইসলামোফোবিয়া নিয়ে চাঞ্চল্যতা সৃষ্টি করছেন তারা মূলত বুঝতে চান না আমরা মুসলিমরা পবিত্র কুরআন ও মহানবী সা. কে নিয়ে কতখানি অনুভব করি।
পাশ্চাত্য দেশগুলোতে কিভাবে ইসলামোফোবিয়া বন্ধ করা যায় সে বিষয়ে তিনি বলেন, মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর উচিত জাতিসঙ্ঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ল্ড ফোরামগুলোতে মুসলিমদের মহানবি সা. এর প্রতি অনুভূতি বোঝার বিষয়ে চাপ সৃষ্টি করা। আমাদের তাদেরকে ব্যাখ্যা করতে হবে, বাকস্বাধীনতার নামে মহানবির সমালোচনা আমাদের জন্য কতখানি যন্ত্রণার। আমরা এটি বন্ধ করতে তাদের অনুরোধ করতে পারি। পাকিস্তান ও তুরস্কের ‘ঐতিহাসিক সম্পর্কের’ কথা স্মরণ করে ইমরান খান বলেন, কাশ্মির ইস্যুতে তুরস্ক পাকিস্তানকে যে সমর্থন দিয়েছে তারা তা ভুলবেন না।
২০২০ সালের ডিসেম্বর পাকিস্তানি একটি সম্প্রচারমাধ্যমকে ইমরান খান বলেছিলেন, ‘পাকিস্তান একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। আমাদের গোটা জাতি ফিলিস্তিনিদের পক্ষে। যতক্ষণ না ফিলিস্তিনিদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়, ততক্ষণ আমরা কিছুতেই ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেব না।’ সূত্র : ইয়েনি সাফাক
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।