মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনায় যে মানুষটা সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছেন তার নাম এলন মাস্ক। ই-কমার্স জায়ান্ট আমাজনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেফ বেজোসকে হটিয়ে বিশ্বের শীর্ষ ধনী এখন টেসলা ও স্পেসএক্সের মালিক তিনি। তার সম্পদের পরিমাণ ১৮ হাজার ৫০০ কোটি ডলার।
২০২০ সালের জানুয়ারিতে কেউ ঘুনাক্ষরেও ভাবেনি এক বছরের মধ্যেই ১৬ হাজার কোটি ডলার আয় করবেন মাস্ক। অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজসের ১৮ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের সম্পদও কোনোদিন টপকে যাবেন তা অনুমিতই ছিলো। তবে ফ্যালকন ৯ রকেটের গতিতে তিনি বেজসের নাগাল পাবেন তা কেউ ভাবেনি। তিনি যে এখন ১৮ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের মালিক তা হয়তো নিজেই বিশ্বাস করতে পারছেন না। তাই বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি হওয়ার খবর দেখে টুইটে লিখেছেন, ‘কী অদ্ভুত’।
গত বছর অবিশ্বাস্য দ্রুতগতিতে টেসলার শেয়ারের দাম বৃদ্ধির ফলস্বরূপ ২০২১ সালের শুরুতেই টেসলার মার্কেট ভ্যালু দাড়িয়েছে ৭০০ বিলিয়ন ডলার। টেসলা এখন টয়োটা, ভক্সওয়াগন, হুন্দাই, জিএম ও ফোর্ডের চেয়ে দামি কোম্পানি। গত মাসেই এসএন্ডপি ৫০০ ইনডেক্সে জায়গা পায় টেসলা।
বিশ্বের শীর্ষ ধনী হওয়ার পেছনে মাস্ক চাইলে বেজসকে একটা ধন্যবাদও অবশ্য দিতে পারেন। ডিভোর্সের পর জেফ বেজস তার সাবেক স্ত্রীকে অ্যামাজনের ৪ শতাংশ শেয়ার (প্রায় ৩৮৩০ কোটি ডলার) দিয়েছিলেন। এতে করে বেজসের সম্পদ কিছুটা কমে যায়। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসকে পেছনে ফেলেন মাস্ক। সে সময় বিল গেটসের সম্পদের পরিমাণ ছিলো ১২৭ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার।
মাস্কের সম্পদের পরিমাণ ফুলে ফেঁপে পাহাড় সমান হয়েছে বিদায়ী বছরে। অথচ ওই বছরের শুরুতে তার সম্পদের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। টেনেটুনে শীর্ষ ৫০ ধনীর তালিকায় ছিলেন তিনি। তবে মাত্র ১২ মাসে সেই সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ১৬ হাজার কোটি ডলার। টেসলার ইলেকট্রিক কারের চাহিদাই এই সম্পদ বৃদ্ধির বড় কারণ। সেই সঙ্গে পুঁজিবাজারেও তরতর করে বেড়েছে শেয়ারের দর। আরও মজার তথ্য হলো মাত্র দেড় বছর আগে টেসলার শেয়ারের মূল্য কমে যাওয়াতে বড় ধরনের লোকসানে পড়তে হয়েছিল। এর ফলে আইনি ও নিয়ন্ত্রকদের পক্ষ থেকে মাস্কের নেতৃত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হয়। অথচ এক বছরের মধ্যে পাশার দান ঘুরে গেল। টেসলার শেয়ারের দাম বেড়েছে ৯ গুণ। সূত্র: সিএনবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।