নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : ১৯৯৯ সালে অভিষেক। এর পর শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের কত উত্থান-পতনের সাক্ষী হয়েছেন, ‘দিলস্কুপের’ মতো কত স্মরণীয় সব মুহূর্ত এসেছে তাঁর হাত ধরেই। সেই অধ্যায়টা এবার শেষ হয়ে যাচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে চলতি সফর শেষেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিচ্ছেন তিলকরতেœ দিলশান। আগামী রোববার ডাম্বুলায় সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটিই হবে দিলশানের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষ ওয়ানডে। আর শ্রীলঙ্কার হয়ে শেষ টি-টোয়েন্টি খেলবেন আগামী ৯ সেপ্টেম্বর।
বয়স হয়ে গেছে ৩৯, বেলা শেষের গান শুনতে পাচ্ছিলেন অনেক আগে থেকেই। লোয়ার মিডল অর্ডারেই এক দশক ব্যাটিং করেছিলেন। তবে আলো ছড়াতে কিছুটা সময় নেন তিনি। ২০১৩ সালে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। কিন্তু ব্যাটে রানের অভাব হয়নি এর পর। ২০০৯ সালে ওপেনার হওয়ার পরই সীমিত ওভারের ম্যাচে ধারাবাহিকতা ফিরে পান। চারবার ক্যালেন্ডার ইয়ারে ১ হাজার রান পূরণ করেন তিনি। ওপেনিংয়ে জায়গা পাওয়ার পর থেকেই রানের ফোঁয়ারা ছুটিয়ে চলছিলেন।
গত বছর ওয়ানডেতে নিজের সেরা বছরগুলোর একটি কাটিয়েছেন, করেছেন ১২০৭ রান। এ বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও শ্রীলঙ্কার হয়ে সবচেয়ে বেশি রান ছিল তাঁর। ২০১৩ সাল থেকে ওয়ানডেতে গড় ৪৯.১৮। এখন পর্যন্ত ৩২৯টি ওয়ানডে খেলে করেছেন ১০২৪৮ রান, নিয়েছেন ১০৬ উইকেট। ৭৮টি টি-টোয়েন্টিতে করেছেন ১৮৮৪ রান। বলতে গেলে গত কয়েক বছর ধরে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সই করে আসছিলেন। কিন্তু বর্তমান নির্বাচকদের চাপে বাধ্য হয়েই এই সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। এ বছরের শুরুতে ইংল্যান্ড সফরে যাননি। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সিরিজের আগেই প্রধান নির্বাচক সনাৎ জয়াসুরিয়ার সঙ্গে কথা হয়েছিল তাঁর। তখনই তাঁকে জানানো হয়, ২০১৯ বিশ্বকাপ নিয়ে শ্রীলঙ্কার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় তিনি নেই। দিলশানের এখনই অবসর নেওয়ার ইচ্ছা ছিল না বলে জানাচ্ছে ক্রিকইনফো। তারপরও তরুণদের জায়গা ছেড়ে দিতেই এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন দিলশান। বিদায়ের এই সিদ্ধান্ত নিতে তাকে সাহায্য করেছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডেতে তার স্কোর- ২২ ও ১০। তার পরই মন বদলেছেন দিলশান, ‘সময় হয়েই গেছে বিদায়ের’।
বিদায় অনেক ক্ষেত্রে শুধুই একটি প্রস্থান নয়। অনেকের বিদায় রেখে যায় কিছু স্মৃতি কিছু অবদান। যা তাকে করে অমর। তার বিদায়ের সাথে বাংলাদেশের নামটিও আছে জড়িয়ে। ২০০৫ সালে এদেশে সফরে এসে ৫ম উইকেটে টেস্টের সর্বোচ্চ ২৮০ রানের জুটি গড়েন থিলান সামারাভিরাকে নিয়ে। ওয়ানডেতে অপরাজিত ১৬১ রানের স্কোরটির সঙ্গেও জাড়িয়ে বাংলাদেশের নাম। কোন ছক্কা না মেরেই মাশরাফিদের বিপক্ষে ঐ স্কোর গড়েছিলেন লঙ্কান ব্যাটিং দানব। ক্রিকেটের মক্কা খ্যাত লর্ডসে লঙ্কান হিসেবে সর্বোচ্চ ১৯২ রানের টেস্ট ইনিংসটি এখনও জ্বলজ্বলে। ৩৫ বছর বয়সে এসেও নিজের ব্যাটিং দ্যুতি দেখিয়েছেন দিলশান। ৪৩৯১ রান শুধু করেছেন ঐ বয়স পেরুনোর পর!
একনজরে দিলশান
ম্যাচ ইনি. রান সর্বোচ্চ গড় স্ট্রাইক ১০০/৫০
টেস্ট ৮৭ ১৪৫ ৫৪৯২ ১৯৩ ৪০.৯৮ ৬৫.৫৪ ১৬/২৩
ওয়ানডে ৩২৯ ৩০২ ১০২৪৮ ১৬১* ৩৯.২৬ ৮৬.৩৪ ২২/৪৭
টি-২০ ৭৮ ৭৭ ১৮৮৪ ১০৪* ২৮.৯৮ ১২০.৬৯ ১/১৩
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।