Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ট্রাম্পকে সরিয়ে দিতে কার্যক্রম শুরু

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ জানুয়ারি, ২০২১, ২:৩৫ পিএম

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘উন্মাদ’ ঘোষণা করে তাঁকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরিয়ে দিতে আলোচনা শুরু করেছেন তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার রাতে সংবিধানের ২৫তম সংশোধনীর ভিত্তিতে ট্রাম্পকে সরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। খবর এনডিটিভি
মার্কিন সংবিধানের ২৫তম সংশোধনীতে বলা হয়েছে, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মন্ত্রিসভা যদি প্রেসিডেন্টকে দায়িত্ব পালনে অযোগ্য বলে বিবেচনা করে; তাহলে তাকে সরিয়ে দিতে পারবে।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই সংশোধনী প্রয়োগ করা হলে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স তাকে সরিয়ে দিতে মন্ত্রিসভায় ভোটাভুটির নেতৃত্ব দেবেন।
গত নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের বিজয় অনুমোদনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণেতারা বুধবার কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে বসেন। সেখানে ইলেকটোরাল কলেজের দেওয়া ভোটগুলো গোনা হয় এবং তা চূড়ান্তভাবে প্রত্যয়ন করা হয়। সেই অধিবেশনের কয়েক ঘণ্টা আগেই এর বিরোধিতা করে ওয়াশিংটনে জড়ো হন কয়েক হাজার ট্রাম্প সমর্থক, যাদের মধ্যে উগ্রপন্থী বিভিন্ন গ্রুপের সদস্যরাও ছিলেন। সেই সমাবেশের বক্তব্যে নভেম্বরের নির্বাচনে পরাজয় মেনে না নেওয়ার ঘোষণা দেন ট্রাম্প।
এরপরই বেশ কিছু ট্রাম্প সমর্থক পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে পড়ে তাণ্ডব শুরু করে। নজিরবিহীন এই তাণ্ডবের ঘটনায় শেষ খবর পর্যন্ত নিহত হয় ৪ জন
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘উন্মাদ’ ঘোষণা করে তাঁকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পোল্যান্ডের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাদেক সিকোরস্কি। তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পার্লামেন্টে ইইউ-যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের প্রধান। যুক্তরাজ্যের গার্ডিয়ান পত্রিকার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা ভবন বা ক্যাপিটলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের উগ্র সমর্থকদের হামলার পর এই টুইট বার্তায় এ আহ্বান জানান সিকোরস্কি। আর ট্রাম্পকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য মার্কিন সংবিধানের ২৫তম সংশোধনী ব্যবহার করার জন্য দেশটির কেবিনেটের প্রতি আহ্বান জানান পোলান্ডের এই রাজনীতিক। তবে শুধু সিকোরস্কিই নন, ২৫তম সংশোধনী ব্যবহার করে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সরিয়ে দেওয়ার কথা উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরেই।
মার্কিন সংবিধানের এই সংশোধনী অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট যদি তাঁর কার্যক্রম পরিচালনায় অসমর্থ বিবেচিত হন, তবে নতুন কাউকে সেই দায়িত্ব দেওয়া যায়। তবে এ জন্য কেবিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সেরও সম্মতির দরকার হবে। তাঁরা কংগ্রেসের কাছে এই মর্মে চিঠি লিখবেন যে পেন্স ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হবেন। কারণ, ট্রাম্প এ দায়িত্ব পালনে অসমর্থ। মার্কিন সংবিধানে এ সংশোধনী আনা হয় ১৯৬৭ সালে। তবে এর প্রয়োগ এযাবৎ হয়নি।
আর ভাইস প্রেসিডেন্ট পেন্সের কাছে এমন কোনো আবেদনও এখন পর্যন্ত উপস্থাপন করা হয়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কেউ কেউ ২৫তম সংশোধনী প্রয়োগের জন্য পেন্সের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব ম্যানুফ্যাকচারার্সের প্রধান, এনএএসিপির প্রধান এবং ভেরমন্টের রিপাবলিকান গভর্নর। সূত্র : বিবিসি, এনডিটিভি

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ট্রাম্প


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ