মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন সংসদ ভবন ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্প সমর্থকদের ঢুকে পড়া ও সহিংসতার বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠেছে। এ ঘটনায় বিস্মিত ও স্তব্ধ হওয়ার প্রতিক্রিয়ার কথা জানিয়েছেন বিশ্বের রাজনৈতিক নেতারা।
জো বাইডেন এই ঘটনাকে একটি ‘বিদ্রোহ’ বলে আখ্যায়িত করেন। আর ট্রাম্প একটি ভিডিও বার্তায় তার সমর্থকদের বাড়ি ফিরে যেতে অনুরোধ জানিয়েছেন।
এমন ঘটনায় বিস্মিত ও স্তব্ধ বিশ্বনেতাদের একজন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি ওই ঘটনাকে ‘লজ্জাজনক দৃশ্য’ উল্লেখ করে ‘শান্তিপূর্ণ এবং সুশৃঙ্খল ক্ষমতা হস্তান্তরের’ আহ্বান জানান।
এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তিনি টুইটারে ঘটনার প্রেক্ষিতে লিখেছেন, “ওয়াশিংটন ডিসিতে সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনায় আমি অত্যন্ত আহত। নিয়মমাফিক ও শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া যেন চলতে থাকে। একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে কখনওই বেআইনি আন্দোলনের দ্বারা বিপথে চালিত হতে দেওয়া যায় না।”
ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন ‘গণতন্ত্রের ওপর হামলার ঘটনায় ‘ক্যানাডিয়ানরা অত্যন্ত চিন্তিত।’
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস বলেন, ট্রাম্প ও তার সমর্থকদের উচিত শেষ পর্যন্ত আমেরিকার ভোটারদের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া এবং গণতন্ত্রের পদদলন না করা।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ বলেছেন, এটি পুরোপুরি অসুস্থ ও হৃদয়বিদারক দৃশ্য। রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল কোনও দেশে এ ধরনের ঘটনার মাধ্যমে নির্বাচনের ফলকে বিতর্কিত করা হয়- আমাদের গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে এর কোনও স্থান নেই।
সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, ইতিহাস সঠিকভাবেই ক্যাপিটলের ওপর এ হামলার ঘটনা মনে রাখবে; আর সেটি হচ্ছে- এ মুহূর্তটি চরম অসম্মান এবং এই জাতির জন্য লজ্জাজনক।
আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট অ্যালবার্টো ফার্নান্দেজ জো বাইডেনের প্রতি তার সমর্থন জানিয়েছেন এবং সহিংসতার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন।
কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভান ডুক সহিংসতার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন এবং কংগ্রেসের সদস্যধের প্রতি তার সমর্থন জানিয়েছেন।
চিলির প্রেসিডেন্ট সেবাস্টিয়ান পিনেরা ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পরিবর্তনের প্রয়াস’এর নিন্দা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারা যখন গত নভেম্বরের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জো বাইডেনের জয় আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করার জন্যে যৌথ অধিবেশনে বসেন, তখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শত শত সমর্থক সেখানে ঢুকে পড়ে।
তারপর কয়েক ঘণ্টা তাদের দখলে চলে যায় ক্যাপিটল বিল্ডিং। পরে নিরাপত্তাকর্মীরা এসে বিক্ষোভকারীদের বাইরে বের করে দেয়। সেসময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন এক নারী। আহত হন আরও কয়েকজন।
সহিংস এই ঘটনার পর রাজধানী ওয়াশিংটনে স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১২ ঘণ্টার কারফিউ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তারপরও শত শত বিক্ষোভকারীকে রাজপথে জটলা করতে দেখা গেছে। সূত্র : সিএনএন, এএফপি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।