মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : গবাদিপশু হত্যা এবং পরিবহনের উপরে বিধিনিষেধ আরোপ করে রাজ্য সরকারগুলোর কাছে চিঠি পাঠিয়েছে ভারতের কেন্দ্র সরকার। বকরা ঈদ বা কোরবানির ঈদে অবাধে গরু, বাছুর, উট এবং অন্যান্য পশুর যেন নিধন না হয় সে নির্দেশ দিয়েছে ভারতের প্রাণী কল্যাণ বোর্ড। অবৈধ উপায়ে গবাদিপশুর পরিবহন যেন না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্যও নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে রাজ্যে রাজ্যে।
বকরা ঈদ মুসলিমদের সবচেয়ে বড় দুই উৎসবের অন্যতম। গবাদিপশু, উট, দুম্বা ইত্যাদি বিভিন্ন পশুর কুরবানি দেয়া হয় এই ঈদে। গো-রক্ষা এজেন্ডা নিয়ে বিজেপি তথা সঙ্ঘ পরিবার যেভাবে গোটা দেশে হৈ চৈ শুরু করেছে, তাতে কুরবানির ঈদের আগে গো-হত্যার উপর কঠোর বিধিনিষেধ চাপানো প্রত্যাশিতই ছিল। নবান্ন সূত্রের খবর, গত ৪ জুলাই-ই রাজ্য সরকারের মুখ্যসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং রাজ্য প্রাণীসম্পদ বিভাগের কর্তাদের চিঠি পাঠিয়েছেন ভারতীয় প্রাণী কল্যাণ বোর্ডের সচিব এম রবিকুমার। বকরা ঈদের কথা উল্লেখ করেই চিঠিটি লেখা হয়েছে।
শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, সবক’টি রাজ্য সরকারকেই ভারতীয় প্রাণী কল্যাণ বোর্ড এই চিঠি পাঠিয়েছে। রাজ্য সরকারগুলোকে কেন্দ্রীয় বোর্ডের স্পষ্ট নির্দেশ, কোথাও কোরবানির জন্য উট নিধন করতে দেয়া যাবে না। যেসব রাজ্যে গো-হত্যা রোধ আইন বলবৎ রয়েছে, সেসব রাজ্যে গরুর কোরবানিও চলবে না বলে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কোরবানির ঈদের আগে যারা অবৈধভাবে পশুর পরিবহন করছেন এবং ঈদের দিন যারা আইন ভাঙবেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কী ব্যবস্থা সরকার নিল, তাও বিশদে কেন্দ্রীয় বোর্ডকে জানানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে চিঠিতে।
কেন্দ্রের এই চিঠির প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকারও। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগে ভারতীয় পশু কল্যাণ বোর্ডের চিঠিটি পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। তার সঙ্গে জুড়ে গেছে রাজ্য সরকারের নিজস্ব নির্দেশ সম্বলিত চিঠিও। কেন্দ্রীয় বোর্ডের চিঠিতে যেভাবে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে, সেই অনুসারেই যেন কাজ হয়। নির্দেশ রাজ্য প্রাণীসম্পদ দফতরের।
নবান্ন সূত্রের খবর, কুরবানির ঈদে এই রকম চিঠি প্রতি বছরই আসে। তবে এবার পরিস্থিতি কিছুটা আলাদা। সঙ্ঘ তথা বিজেপি তো বটেই, কেন্দ্রীয় সরকারও গো-রক্ষার নীতিতে এখন বেশ সক্রিয়। তাই ঈদের প্রায় আড়াই মাস আগে রাজ্য সরকারের সচিবালয়ে পৌঁছে গেছে চিঠি। পশু হত্যা-বিরোধী আইন এবং আদালতের বিভিন্ন রায়ের পুঙ্খানুপুঙ্খ উল্লেখ করা হয়েছে সেই চিঠিতে। আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার কথাও একাধিকবার লেখা হয়েছে। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।