নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দুই দিকেই সুইং, ৬ ফুট ৮ ইঞ্চি উচ্চতার সৌজন্যে পাওয়া বাড়তি বাউন্স আর দুর্দান্ত লাইন-লেংথ, সব মিলিয়ে কাইল জেমিসন যেন ব্যাটসম্যানদের দুঃস্বপ্ন! প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের নাকাল করে ছাড়লেন এই পেসার। পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে নিউজিল্যান্ড নিশ্চিত করল প্রথমবার আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ওঠা। ক্রাইস্টচার্চে টেস্টে ইনিংস ও ১৭৬ রানে পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিল নিউজিল্যান্ড। ৩৬২ রানে পিছিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৮৬ রানে অলআউট হয়ে গেছে সফরকারীরা। সিরিজের প্রথম টেস্টে কিউইদের রোমাঞ্চকর জয়টি ছিল ১০১ রানে।
গতকাল ম্যাচের চতুর্থ দিনে পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে যায় ১৮৬ রানেই। জেমিসনের শিকার ৪৮ রানে ৬ উইকেট। প্রথম ইনিংসে তিনি ৫ উইকেট নিয়েছিলেন ৬৯ রানে। ৬ টেস্টেই চারবার ৫ উইকেট ও প্রথমবার ম্যাচে ১০ উইকেটের স্বাদ পেয়ে গেলেন এই পেসার। সিরিজ জয়, হোয়াইটওয়াশ ও র্যাঙ্কিং শীর্ষে ওঠার পাশাপাশি এই জয়ে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলার পথেও এগিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড।
এই নিয়ে টানা ৬ টেস্ট জিতল নিউজিল্যান্ড, টানা তিন সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করল প্রতিপক্ষকে। আগের দুই সিরিজে তাদের শিকার ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ভারত। দেশের মাটিতে এই নিয়ে টানা ১৭ টেস্ট অপরাজিত তারা। সবশেষ হেরেছিল ২০১৭ সালের মার্চে, দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে।
ম্যাচের ভাগ্য অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগেই। দেখার ছিল, পাকিস্তান লড়াই কতটা করতে পারে। কিন্তু জেমিসনের জবাব খুঁজে পায়নি তারা। কেন উইলিয়ামসনের ডাবল সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড়ে চড়া নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামার আর আভাস ছিল না। দরকারও হয়নি। পাকিস্তানের ২৯৭ রানের জবাবে উইলিয়ামসনের দাপটে ৬৫৯ রান করে ইনিংস ছেড়েছিল কিউইরা। তৃতীয় দিনে ৩৬২ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নেমেই ১ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
চতুর্থ দিনে ১ উইকেটে ৮ রান নিয়ে খেলতে নেমে দ্রæতই আগেরদিনের নাইটওয়াচম্যানকে হারায় তারা। ট্রেন্ট বোল্টের বলে দলের ১৭ রানে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন মোহাম্মদ আব্বাস। আজহার আলির সঙ্গে জুটি বেধে উইকেটে থাকার মরিয়া চেষ্টা ছিল আবিদ আলি। বেশ কিছুক্ষণ টিকেও ছিলেন। কিন্তু জেমিসনের গোলায় কাত হয়ে ৭৭ বলে ২৬ করে বিদায় তার। প্রথম ইনিংসে রান পাওয়া আজহার দ্বিতীয় ইনিংসেও থিতু হয়ে গিয়েছিলেন। হারিস সোহেলের সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টা করেছেন। জেমিসন তাদের দুজনকেই ফিরিয়েছেন উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে। হারিস ১৫ আর আজহার ফেরেন সর্বোচ্চ ৩৭ রান করে।
দলের রান তিন অঙ্কে যাওয়ার আগে অধিনায়ক রিজওয়ানকেও বোল্ড করে ফেলেন জেমিসন। এরপর আর ম্যাচ লম্বা হওয়ার অবস্থা ছিল না। জাফর গোয়াহারকে নিয়ে চেষ্টা চালিয়েছিলেন ফাওয়াদ আলম। তাকে ফেরান বোল্ট। ফাহিম আশরাফ আর জাফরের দুই ইনিংস পরে কেবল ব্যবধানই কমিয়েছে।
উইলিয়ামসনের ডাবল সেঞ্চুরির পরও ম্যাচের সেরা জেমিসন। ম্যাচে তার প্রাপ্তি ১১৭ রানে ১১ উইকেট। কিউই ইতিহাসে পেসারদের মধ্যে তার চেয়ে ভালো বোলিং ফিগার আছে কেবল স্যার রিচার্ড হ্যাডলির। তবে আগের টেস্টে সেঞ্চুরি ও এই টেস্টের ডাবল সেঞ্চুরিতে সিরিজের সেরা উইলিয়ামসনই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান : ২৯৭ ও ২য় ইনিংস : ৮১.৪ ওভারে ১৮৬ (আগের দিন ৮/১) (মাসুদ ০, আবিদ ২৬,, আব্বাস ৩, আজহার ৩৭, হারিস ১৫, ফাওয়াদ ১৬, রিজওয়ান ১০, ফাহিম ২৮, গোহার ৩৭, আফ্রিদি ৭, নাসিম ০*; সাউদি ০/৪৫, বোল্ট ৩/৪৩, জেমিসন ৬/৪৮, হেনরি ০/২৫, মিচেল ০/৮, উইলিয়ামসন ১/১৬)।
নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংস : ৬৫৯/৬ (ডি.)।
ফল : নিউজিল্যান্ড ইনিংস ও ১৭৬ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : কাইল জেমিসন।
সিরিজ : ২ ম্যাচে নিউজিল্যান্ড ২-০তে জয়ী।
ম্যান অব দ্য সিরিজ : কেন উইলিয়ামসন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।