Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাদরাসার শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত করুন : জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ-এর সহসভাপতি শায়খুল হাদীস আল্লামা উবায়দুল্লাহ ফারুক বলেছেন, ইসলাম নির্মূলবাদী চক্র আলেম-উলামা ও মাদ্রাসা শিক্ষার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও কুৎসা রটনায় যেনো নতুন উদ্যোমে কোমর বেঁধে নেমেছে। এ ক্ষেত্রে পুঁজিবাদের তল্পিবাহক ও আধিপত্যবাদের স্বপক্ষে কাজ করা কতিপয় ইসলামবিদ্বেষী দালাল সহযোগীর ভূমিকা পালন করছে। এই চক্রের সা¤প্রতিক মিথ্যাচার ও কুৎসা রটনার শিকার চাঁদপুরের তালিমুল কুরআন ওয়াল হিকমাহ মাদ্রাসা ও এর শিক্ষক হাফেজ মুহাম্মদ ওমর ফারুক।
গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, গত ২৯ ডিসেম্বর রাতে সম্পূর্ণ সাজানো ও মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে স্থানীয় চিহ্নিত কিছু লোক চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার তালিমুল কুরআন ওয়াল হিকমাহ (রহিমানগর) কওমী মাদরাসায় ভাঙচুর এবং হিফজ বিভাগের শিক্ষক হাফেজ মুহাম্মদ ওমর ফারুককে চরম লাঞ্ছিত ও মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে।

তিনি বলেন, বর্তমানে এই নিরপরাধ কুরআনের শিক্ষক বিনা দোষে জেলে আছেন। এ ব্যাপারে বিচারবিভাগীয় তদন্ত করতে হবে। আল্লামা উবায়দুল্লাহ ফারুক বলেন, হামলার সময় উক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্ররা অভিযোগের সত্যতা যাছাই করতে হামলাকারীদেরকে সিসিটিভি’র ভিডিও ফুটেজ দেখতে বার বার অনুরোধ করেন। কিন্তু হামলাকারীরা তাতে কর্ণপাত করেনি। পরবর্তীতে ভিডিও ফুটেজে প্রমাণিত হয়েছে যে, হামলাকারীদের অভিযোগ নিরেট ষড়যন্ত্রমূলক ও সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি বলেন, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়দের বরাতে আরো জানা গেছে, বেশ কয়েক বছর আগে থেকে মাদ্রাসাটির জায়গা দখলে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে একটি মহল। তাদের যুক্ত হয়েছে দেওবন্দী মতাদর্শবিরোধী স্থানীয় একটি গোষ্ঠী। এই মহলটি ইসলামবিদ্বেষীদের চলমান আলেম-উলামা ও মাদ্রাসাবিরোধী অপপ্রচারকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। তিনি অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত শিক্ষককে মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান।
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন : চট্টগ্রাম ফটিকছড়ি পশ্চিম নানুপুর দারুস সালাম ঈদগাহ মাদরাসায় সন্ত্রাসী হামলায় ৬ জন গুলিবিদ্ধের ঘটনা এবং চাঁদপুরের কচুয়ায় মিথ্যা অপবাদে মাদরাসা শিক্ষককে এলাকার উগ্র সন্ত্রাসীদের হাতে মাথার চুল কেটে এবং পিটিয়ে আহত করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীরে শরীয়ত আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী। তিনি বলেন, কতিপয় ইসলাম বিদ্বেষী লালিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বিভিন্ন অজুহাতে আলেমদেরকে লাঞ্চিত করছে। যারা আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে নিরপরাধ আলেমকে নির্যাতন করেছে তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর মাদরাসায় আলেমদের সাথে মতবিনিয়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির শাইখুল হাদিস আল্লামা হাজী ফারুক আহমেদ, মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, শাইখুল হাদিস শেখ আজিম উদ্দিন, মাওলানা মো. ইলিয়াস, মুফতি মুজিবুর রহমান, মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন, মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী, মাওলানা মফিজুর রহমান, মাওলানা সাজিদুর রহমান ফয়েজী, মাওলানা মাসুদুর রহমান, মাওলানা আকরাম হোসাইন, আলহাজ মাস্টার আনসার উদ্দিন হাওলাদার। আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী আরো বলেন, অনেক স্থানে কিছু দুষ্কৃতকারী সন্ত্রাসী মাহফিলের ষ্টেজে উঠে বক্তার সাথে দুর্ব্যবহার করছে, যার নজির অতীতে কখনো দেখা যায়নি। একটি মহল আলেমদের কন্ঠ স্তব্ধ করে দিতে চায়। জনগণকে আলেমদের থেকে দূরে সরাতে চায়। তাদের চক্রান্ত কখনো সফল হবে না। যারা ইসলামকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চায়, আলেমদের কন্ঠকে স্তব্ধ করে দিতে চায়, তারাই নিশ্চিহ্ন ও স্তব্ধ হয়ে যাবে ইন শা আল্লাহ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মাদরাসা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ