মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্রস্তাবিত ভারত সফর বাতিল করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। গতকাল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলে তিনি জানিয়েছেন, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ভারত সফরে আসা সম্ভব হবে না তার পক্ষে। যদিও গত মাসেই প্রধানমন্ত্রী জনসন বলেছিলেন, ভারতে প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে তিনি যে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ পেয়েছেন, এতে তিনি খুবই খুশি।
ভারত-ব্রিটেনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে গোটা ছবিটাই বদলে দিয়েছে নয়া করোনা স্ট্রেইন, যাকে নিয়ে এ মুহূর্তে নাজেহাল ব্রিটেন। আগের থেকে বেশি সংক্রামক এ নতুন করোনা স্ট্রেইন। পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে, সোমবার সে দেশে ফের পুরোদমে লকডাউন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী জনসন। তার মতে, করোনার নতুন স্ট্রেনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে, এমন সিদ্ধান্ত নিতেই হত। সোমবার পর্যন্ত দেশে প্রায় ২৭ হাজার মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়ান্টে আক্রান্ত হয়ে। এ নতুন করোনা স্ট্রেইনের উপস্থিতিতে ফের সারা বিশ্বে যাতায়াতের ক্ষেত্রেও এসেছে বিধিনিষেধ। যাতায়াতের ক্ষেত্রে নানা বিধিনিষেধ জারি করা সত্তে¡ও এ নতুন স্ট্রেইন ছড়িয়ে পড়েছে ৩০টিরও বেশি দেশে। ভারতেও যুক্তরাজ্য থেকে ফেরা ৫৮ জনের শরীরে মিলেছে করোনার নতুন স্ট্রেইন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে এর আগে জানানো হয়েছিল, ভারত সফরকে কাজে লাগিয়ে, দেশের বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা এবং সুরক্ষা বিষয়ক সমস্যাগুলি নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর চেষ্টা করবেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। শুধু তাই নয়, ব্রিটেন ইওরোপিয়ন ইউনিয়ন ছেড়ে আসার পর এটিই হতে চলেছিল ব্রিটেনের তরফে প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর। তবে প্রধানমন্ত্রী জনসন জানিয়েছেন, চলতি বছরের মাঝামাঝি তিনি ভারত সফরে আসতে পারবেন বলে আশা রাখছেন। সূত্র : নিউজ১৮।
এদিকে করোনার নতুন স্ট্রেইনের জন্য যুক্তরাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। তাই ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ল। জার্মানিতেও বাড়তে চলেছে লকডাউনের মেয়াদ।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ঘোষণা করেছেন, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত ইংল্যান্ডে লকডাউন থাকবে। সব স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান শুধু খোলা থাকবে। বাকি সব দোকান বন্ধ থাকবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনা, কাজে যাওয়া, ব্যায়াম করা এবং চিকিৎসার কারণেই মানুষ বাইরে বেরোতে পারবেন। তাছাড়া বাড়িতেই থাকতে হবে সবাইকে। একই ধরনের লকডাউন চালু হয়েছে স্কটল্যান্ডেও। জনসন জানিয়েছেন, ‘করোনার কারণে যুক্তরাজ্যের অবস্থা সংকটজনক। দেশের সর্বত্র করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকে হাসপাতালগুলিতে এতটা চাপ কখনো ছিল না। তাই কড়া ব্যবস্থা নিতেই হচ্ছে। সরকার আবার বলছে, আপনারা ঘরের ভিতরে থাকুন।’
যুক্তরাজ্যের চিফ মেডিক্যাল অফিসার জানিয়েছেন, গত ২১ দিন ধরে সমানে করোনার রোগী আসছেন। যুক্তরাজ্য জুড়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে যুক্তরাজ্যে রোজ ৫০ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। সোমবার আক্রান্ত হয়েছেন ৫৮ হাজার ৭৮৪ জন। ফলে স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রবল চাপে পড়েছে। যুক্তরাজ্যে করোনার ভ্যাকসিন দেয়ার কাজও চলছে। এর আগে বায়োনটেক ফাইজারের ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছিল। সোমবার থেকে অস্কফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন দেয়ার কাজও শুরু হয়েছে। সূত্র : স্কাই নিউজ, এএফপি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।