মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান আসাঞ্জকে মার্কিন সরকারের হাতে তুলে দেয়ার বিপক্ষে রায় দিয়েছে যুক্তরাজ্যের আদালত। এই রায়ের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তার বাগ্দত্তা স্টেলা মরিস। স্থানীয় সময় সোমবার স্টেলা বলেন, ‘অ্যাসাঞ্জের মামলায় সুবিচারের এটি প্রথম ধাপ।’
এএফপির খবরে জানা যায়, স্টেলা আদালতের এই আদেশকে ‘বিজয়’ বলে চিহ্নিত করেন। তবে অ্যাসাঞ্জ মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত কোনো উৎসব করবেন না বলে জানান। লন্ডনের ওল্ড বেইলি আদালতের বাইরে দাঁড়িয়ে অ্যাসাঞ্জের বাগ্দত্তা স্টেলা আরও বলেন, ‘এখনই এর শেষ হোক। কারাগারের দেয়াল ভেঙে ফেলুন, যাতে আমাদের ছোট ছেলেরা তাদের বাবাকে পায়।’ সবার ভালোর জন্য তিনি অ্যাসাঞ্জের মুক্তি দাবি করেন। ব্রিটিশ আদালতের সিদ্ধান্তে স্টেলা ও স্নোডেন যতটা উচ্ছ্বসিত, ততটাই হতাশ যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ। গতকাল বিচার বিভাগ বলেছে, ‘অ্যাসাঞ্জকে নিয়ে ব্রিটিশ আদালতের সিদ্ধান্তে আমরা খুবই হতাশ।’
যুক্তরাজ্যের আদালতের সিদ্ধান্তের পর আনন্দ প্রকাশ করে অ্যাসাঞ্জকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে চায় বলে জানিয়েছে মেক্সিকো। দেশটির প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদর সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘অ্যাসাঞ্জকে মুক্ত করতে যুক্তরাজ্য সরকারকে অনুরোধ জানানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলব। এরপর মেক্সিকো অ্যাসাঞ্জকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার প্রস্তাব জানাবে।’ যুক্তরাজ্যের আদালতের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন বামপন্থী এই নেতা। তিনি এটিকে ‘ন্যায়ের জয়’ বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘অ্যাসাঞ্জ একজন সাংবাদিক। আরেকটি সুযোগ পাওয়ার অধিকার তাঁর রয়েছে।’ মেক্সিকো বেশ কয়েক বছর ধরেই অনেককে রাজনৈতিক আশ্রয় দিচ্ছে। সম্প্রতি বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভো মোরেলেসকেও রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে দেশটি। সূত্র: এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।