Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কৃষ্ণগহ্বর হতে পারে অতীত বা ভবিষ্যতে যাওয়ার প্রবেশদ্বার

প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ব্ল্যাক হোল (কৃষ্ণগহ্বর) হলো মহাবিশ্বের অস্তিত্ব ও প্রকৃতি বিষয়ক একটি বহুল প্রচলিত ধারণা। এই ধারণা অনুযায়ী, কৃষ্ণগহ্বর মহাবিশ্বের এমন একটি জায়গা, যা ঘন সন্নিবিষ্ট বা অতিক্ষুদ্র আয়তনে এর ভর এত বেশি যে, এর মহাকর্ষীয় শক্তি কোনো কিছুকেই তার ভেতর থেকে বের হতে দেয় না। অষ্টাদশ শতাব্দীতে প্রথম মহাকর্ষের ধারণার ভিত্তিতে কৃষ্ণগহ্বরের অস্তিত্বের বিষয়টি উত্থাপিত হয়। তখন থেকেই এ নিয়ে বিস্তর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এখনো পর্যন্ত ব্ল্যাক হোলের কোনো প্রত্যক্ষ প্রমাণ পাওয়া না গেলেও মহাকাশ-বিজ্ঞানীরা আশপাশের তারকাম-লীর গতিবিধি ১৬ বছর পর্যবেক্ষণ করে ২০০৮ সালে অতিমাত্রার ভরবিশিষ্ট একটি ব্ল্যাক হোলের প্রমাণ পেয়েছিলেন, যার ভর আমাদের সূর্য থেকে ৪ মিলিয়ন গুণ বেশি এবং এটি আমাদের আকাশগঙ্গার মাঝখানে অবস্থিত।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে, ব্ল্যাক হোলের মাধ্যমে কোনো বস্তুর ধ্বংস নয় বরং এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে বস্তু পাঠানোর প্রবেশপথ হতে পারে। বিজ্ঞানীদের মতে ব্ল্যাক হোল সংক্রান্ত গবেষণায় প্রধান সমস্যা হলো, এর গভীরতম অংশে পদার্থবিদ্যার কোনো নিয়মই কার্যকর নয়। ফলে বাইরে থেকে কোনোভাবেই বোঝা সম্ভব নয়, ব্ল্যাক হোলের ওই অংশে কী হচ্ছে বা কী হতে পারে। এতদিন বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল, একটি ক্ষুদ্র অঞ্চলে বিপুল পরিমাণ শক্তি বা বস্তু সঞ্চিত রয়েছে। এর প্রভাবেই গ্র্যাভিটেশনাল সিঙ্গুলারিটি (মহাকর্ষীয় একতা) সৃষ্টি হয়, যেখানে স্থান-কাল অসীমত্বের পথে বাঁক নেয় এবং সবকিছু ধ্বংস হয়ে যায়। কারণ, পদার্থের নিয়ম অনুসারে দুটি বস্তু একই সময়ে একই জায়গায় থাকতে পারে না। কিন্তু কৃষ্ণগহ্বরের মধ্যে এই নিয়ম খাটে না, যার জেরে একাধিক বস্তু বা পদার্থ একই সময়ে একই জায়গা দখল করে থাকে। ফলে পদার্থগুলোর নিজস্ব বৈশিষ্ট্য হারিয়ে যায় এবং সৃষ্টি হয় সিঙ্গুলারিটি (একতা)। আর এ কারণে যেকোনো বস্তু বা পদার্থ অচিরেই কৃষ্ণগহ্বরের গভীরে ধ্বংস হয়ে যায়।
তবে সম্প্রতি এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা নতুন তথ্য পেয়েছেন। স্পেনের ইন্সটিটিউট অব কার্পাস্কুলার ফিজিক্সের (আইএফআইসি) বিজ্ঞানীদের- যারা কণার গঠন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করছেন তাদের মতে, ব্ল্যাক হোলে পদার্থগুলো হয়তো ধ্বংস হয় না, বরং কৃষ্ণগহ্বরের মধ্য দিয়ে মহাবিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চলে যায়। বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলা হয় ওয়ার্মহোল। পিটিআই, টাইমস অব ইনডিয়া।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কৃষ্ণগহ্বর হতে পারে অতীত বা ভবিষ্যতে যাওয়ার প্রবেশদ্বার
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ