বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সরকারি প্রাকৃতিক সম্পদকে কিছু অর্থলোভী ব্যক্তিরা তাদের ব্যক্তিগত সম্পদ মনে করে। বৈধ-অবৈধ বিবেচনা না করে জনগণকে ঠকিয়ে নিজের ইচ্ছেমত গ্যাস সংযোগ দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এতে করে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, থানা বা ফাঁড়ির কতিপয় পুলিশকে আর্থিক সুবিধা দিয়ে চক্রটি প্রকাশ্যে অবৈধ গ্যাস সংযোগ স্থাপনের সুযোগ নিচ্ছে। এছাড়া সরকারি দলের জনপ্রতিনিধিরা নিজ নিজ এলাকায় হাজার হাজার অবৈধ সংযোগ দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অপর একটি সূত্রে জানা গেছে।
এভাবে বন্দরের আনাচে কানাচে বিশাল বিশাল ভবনে হাজার হাজার অবৈধ চুলা দিন রাত জ্বলছে। সচেতন নাগরিকদের ধারণা অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে গ্যাসের চাপ বাড়বে এবং সরকারের রাজস্ব ক্ষতি কম হবে।
এ ব্যাপারে বন্দরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন, বন্দর ইউনিয়ন, মুছাপুর ইউনিয়ন, ধামগড় ইউনিয়ন, মদনপুর ইউনিয়ন, নাসিক ২৭নং ওয়ার্ড, ২৬নং ওয়ার্ড, ২৫নং ওয়ার্ড, ২৪নং ওয়ার্ড, ২৩নং ওয়ার্ড, ২২নং ওয়ার্ড, ২১নং ওয়ার্ড, ২০নং ওয়ার্ড ও ১৯নং ওয়ার্ডে অবৈধ গ্যাস সংযোগের ছড়াছড়ি। বৈধ সংযোগের তুলনায় অবৈধ সংযোগের সংখ্যা অনেক বেশি। কিছু অসাধু অর্থলোভী ব্যক্তিরা অর্থের বিনিময়ে অবৈধ সংযোগ প্রদান করে বছরের পর বছর সরকারি বিল ফাঁকি দিয়ে চুলা জ্বালানোর সুযোগ করে দিয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী জানায়, রাতের আধারে অবৈধ গ্যাস সংযোগ স্থাপনের সময় পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে টাকার কাছে বিক্রি হয়ে যায়। পুলিশ অবৈধ গ্যাস সংযোগকারীদেরকে আটক না করে টাকা নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। যার ফলে ভোগান্তি পোহাতে হয় বৈধ গ্রাহকদের। ঘারমোড়া এলাকার গৃহবধূ শিখা জানান, গ্যাস সঙ্কটের কারণে খাওয়া দাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গ্যাস থাকছে না। গ্যাস না পেয়ে এখন মাটির চুলায় রান্না করতে হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।