Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজধানীতে তীব্র গ্যাস সঙ্কট

শীতের পূর্বমুহূর্ত

পঞ্চায়েত হাবিব : | প্রকাশের সময় : ১৫ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে তীব্র গ্যাস সঙ্কট শুরু হয়েছে। গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া গ্যাস সঙ্কটে চরম বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা। গত বৃহস্পতিবারেও রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ছিল গ্যাস সঙ্কট। কয়েক দিন ধরে সকাল থেকে লাইনে গ্যাস থাকে না। দুপুরে রান্নাও করা যাচ্ছে না।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, আদাবর, কল্যাণপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের এমন সঙ্কট চলছে। নতুনবাজার এলাকাও একই অবস্থা। এখানে সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত গ্যাস থাকে না। এই এলাকায় এখন সিলিন্ডারই ভরসা। যাদের সিলিন্ডার নেই তারা ভোররাতেই দিনের রান্না শেষ করেন।

এ বিষয়ে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী মো. আল-মামুন ইনকিলাবকে গ্যাস সঙ্কটের কথা স্বীকার করে বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ফোন পেয়েছি। এটা আমাদের সমস্যা নয়। এটা জাতীয় সমস্যা। তবে সংকট কাটানোর জন্য কাজ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, গ্যাসের সঙ্কট এখনও খুব বেশি হচ্ছে না। পিক আওয়ারে না থাকলেও বিকেল বা সন্ধ্যার পর গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিকই থাকে।

নতুনবাজার এলাকার বাসিন্দা শাহিন আলম বলেন, এলাকায় তিনদিন থেকে তীব্র গ্যাস সঙ্কট চলছে। আমাদের এখন সিলিন্ডারই ভরসা। শীত আসলে কি অবস্থা হবে কে জানে। সাম্প্রতিক কয়েক বছর শীতকালে গ্যাসের চাপের সমস্যা দেখা যাচ্ছে। তবে এবার সমস্যাটি ভিন্ন বলে জানিয়েছেন গ্যাস সরবরাহে নিয়োজিত কর্মকর্তারা। এবারের গ্যাস সঙ্কট তাপমাত্রার কারণে হচ্ছে না, মেকানিক্যালের কারণে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন আবাসিক গ্রাহকরা। অনেক এলাকায় চুলা জ্বলছে টিমটিম করে। অনেক এলাকায় চুলা জ্বলছে না বললেই চলে। বিশেষ করে ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত গ্যাসের তীব্র সঙ্কট থাকে।

রাজধানীর আজিমপুরের বাসিন্দা ফজিলা বেগম বলেন, সব প্রস্তুতি সেরে দুপুরের রান্নার জন্য গ্যাসের চুলা জ্বালাতে গিয়ে দেখেন টিমটিম করে জ্বলছে। হাড়ি চড়ানোর দু-তিন মিনিটের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যায় চুলা। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এখনো তেমন শীতকাল পড়া শুরু হয়নি। তার আগে এ অবস্থা হয় তবে শীত এলে তো গ্যাসের সঙ্কটে না খেয়ে দিন কাটাতে হবে। মোহাম্মদপুর নুরজাহান রোডের বাসিন্দা সালমা রশিদ বলেন, গ্যাস সঙ্কটের কারণে দুপুরের রান্না করতে না পেরে অসহনীয় দুর্ভোগ হচ্ছে। রাজধানীর চকবাজারের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী জানান, করোনা মহামারিতে গ্যাসের সঙ্কট নগরবাসীকে ভীষণ ভোগাচ্ছে। কয়েক দিন ধরে গ্যাস সরবরাহ না থাকায় রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার এনে খেতে হচ্ছে।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের জরুরি অভিযোগ কেন্দ্রে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন অর্ধশতাধিক নাগরিক গ্যাসের চাপ কম থাকা কিংবা হঠাৎ গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ হওয়ার অভিযোগ করছেন। সামনে সঙ্কট আরও বাড়তে পারে বলে তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে তিতাসের জরুরি অভিযোগ কেন্দ্রের কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করে বলেন, লাইনে গ্যাসের চাপ কম থাকায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রেশনিং করে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। মূল লাইন থেকে গ্যাসের চাপ অর্ধেকে নেমে আসায় আগের মতো সরবরাহ করা যাচ্ছে না। শীতকালে আবহাওয়া অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা থাকায় গ্যাস জমে যায় এবং যেখান থেকে এ খনিজ উত্তোলন করা হয় সেখানেও চাপ কম থাকে।



 

Show all comments
  • মো আলী হায়দার ১৫ নভেম্বর, ২০২০, ৭:৪৮ এএম says : 0
    পল্লবী ১১ নং সেকশনে দুমাস যাবৎ গ্যাস থাকে না।গ্যস সরবরাহ না করলেও বিল কিন্তু কম নেয়া হচ্ছে না।এখানে মিটার চালু করা হোক
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তীব্র-গ্যাস-সঙ্কট
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ