Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হিলারির চেয়ে মাত্র দুই পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছেন স্যান্ডার্স

ডেমোক্র্যাট বলয়ের বাকযুদ্ধে হাড্ডাহাড্ডি অবস্থা

প্রকাশের সময় : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : দারহামের নিউ হ্যামশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে আরো এক দফা বিতর্ক হয়ে গেল দুই ডেমোক্র্যাটিক মনোনয়ন প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটন এবং বার্নি স্যান্ডার্সের মধ্যে। যদিও বিতর্ক শুরুর আগে উভয় প্রতিদ্বন্দ্বী পরস্পর হাত মিলিয়ে নেন কিন্তু বিতর্কে কেউ কাউকে ন্যূনতম ছাড় দিতে রাজি নন। গোটা যুক্তরাষ্ট্রে পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেল ভেরমন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স মাত্র দুই পয়েন্টে পিছিয়ে রয়েছেন তার হোয়াইট হাউজ প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারির চেয়ে। গত শুক্রবার কুইনিপিয়াক বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এই জরিপ চালানো হয় রেজিস্টার্ড ভোটারদের মধ্যে। এতে দেখা যায় হিলারি ক্লিনটনের ৪৪ পয়েন্টের বিপরীতে স্যান্ডার্স ৪২ পয়েন্ট পেয়ে সামান্য পিছিয়ে রয়েছেন। গত ২২ ডিসেম্বর এই দুই অগ্রসর প্রেসিডেন্ট মনোনয়ন প্রার্থী যখন নিজেদের প্রার্থিতা ঘোষণা করেন তখন হিলারির অবস্থান ছিল ৬১ পয়েন্টে এবং স্যান্ডর্সের ছিল মাত্র ৩০ পয়েন্ট। এরপর অত্যন্ত দ্রুততম সময়ে মধ্যে এবং বিস্ময়করভাবে স্যান্ডার্স হিলারির সমানে সামনে চলে আসেন।
প্রথম রাউন্ডে হাড্ডাহাড্ডি। ভোটের দ্বিতীয় রাউন্ডেও ছাড়তে চাইছেন না কেউ কাউকে। টিভিতে মুখোমুখি হয়েই তাই বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড়ে থাকা ডেমোক্র্যাট শিবিরের দুই প্রধান মুখ হিলারি ক্লিন্টন ও বার্নি স্যান্ডার্স। হিলারির তোপ, ভোট টানতেই অন্যায় ভাবে নিজেকে প্রগতিশীল প্রমাণ করতে চাইছেন স্যান্ডার্স। পাল্টা খোঁচা দিতে ছাড়েননি ভেরমন্টের সিনেটরও। তার কথায়, হিলারি তো প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি। সাধারণ মানুষের হয়ে দাঁড়িয়েছি শুধু আমি। আইওয়া ককাসের ভোট কার্যত সমানে সমানে শেষ করেছিলেন হিলারি-স্যান্ডার্স। এ সপ্তাহের শুরুতে হ্যাম্পশায়ার, আর পরে সাউথ ক্যারোলাইনার ভোট।
বিশেষ সূত্রের খবর, আইওয়া থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনের দুটি ভোটে প্রচারের খরচ দ্বিগুণ বাড়িয়েছেন স্যান্ডার্স। রাজনীতিকরা তাই আরও জোর লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছেন। টিভির বিতর্কে সেই জল্পনাই আরও উস্কে দিলেন দুই হেভিওয়েট। প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে দলের তরফে মনোনয়ন পাওয়ার দৌড় শুরু হওয়ার পরে ডেমোক্র্যাট শিবিরের এই প্রথম দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। নিউ হ্যাম্পশায়ারের এই বৈঠকে কোনো তৃতীয় পক্ষ ছিলেন না।
অনুষ্ঠানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত হিলারি-স্যান্ডার্স নিজেরাই পরস্পরকে দুষেছেন। যা দেখে মার্কিন সংবাদমাধ্যমের একাংশ বলছে- একই দলের সদস্য হয়েও নীতিগত ভাবে দুজন যে ভিন্ন মেরুর, সেটাই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে টিভিতে। বাকযুদ্ধের শুরুটা অবশ্য করেন হিলারিই। ক্যামেরা চালু অবস্থাতেই স্যান্ডার্সকে আদর্শবাদী বলে কটাক্ষ করেন প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, খুব সম্ভবত সেই কারণে বাস্তব প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে কোনো কাজই তিনি শেষ করতে পারেন না। সবার জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবা সুনিশ্চিত করতে সম্প্রতি একটি প্রস্তাব পেশ করেন স্যান্ডার্স।
এই বিতর্কে সেটিকেই কার্যত অসম্ভব এবং অত্যন্ত ব্যয়বহুল বলে বেঁধেন হিলারি। ভোটের আগে ভুয়া প্রতিশ্রুতি দেওয়া সাজে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। কিন্তু এর উত্তরে ভেরমন্টের সিনেটর যে ওয়াল স্ট্রিট থেকে তার অর্থপ্রাপ্তির প্রসঙ্গ তুলবেন, আঁচ করতে পারেননি হিলারি।
নির্বাচনী বিশ্লেষকরা বলছেন, বস্তুত এর পরেই মেজাজ হারাতে শুরু করেন হিলারি। স্যান্ডার্স এ দিন ইরাক যুদ্ধের প্রসঙ্গ তুলেও একহাত নেন প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে। তার অভিযোগ, ইরাক যুদ্ধের পক্ষে ভোট এবং চীনের সঙ্গে বাণিজ্যে সমর্থন দিয়ে হিলারি কার্যত দেশের সার্বিক কর্মসংস্থানের উপরই আঘাত করেছেন। হিলারি এর সরাসরি জবাব দেননি। তবে দেশের প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে তিনি যে দাঁত চেপে লড়াই চালাবেন, তা স্পষ্ট করে দিতেই অনুষ্ঠানের শেষ অংশে এসে বলেন, আমি প্রগতিশীল। আর আমি সেভাবেই কাজ করতে চাই। এএফপি, ওয়েবসাইট।



 

Show all comments
  • Saiful Islam ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১১:১৯ এএম says : 0
    i thinks Hilary is the best
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হিলারির চেয়ে মাত্র দুই পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছেন স্যান্ডার্স
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ