সোমবার সকালে রাজধানীসহ সারাদেশে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা 'অনুভুত' হয়। আর কিছু এলাকায় ঠাণ্ডার সঙ্গে ছিলো ঘন কুয়াশা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে চলতি মাসের (জানুয়ারি) মাঝামাঝি সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রিতে নামতে পারে। এসময়ে এক থেকে দুটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে।
রোববার (৩ জানুয়ারি) জানুয়ারি মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ মো. আবদুর রহমান খান জানান, চলতি মাসের ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের তাপমাত্র বেড়ে যাবে। তবে ১২ জানুয়ারি পর দুটি শৈত্যপ্রবাহ হবে। আবহাওয়ার এই তাপমাত্রা ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রূপ নিতে পারে।
বর্তমানে রাতে যে তাপমাত্রা আছে, তা আরও বাড়বে। কনকনে শীত থাকবে না, কোনো কোনো জায়গায় মানুষ গরম অনুভব করবে।
জানুয়ারির দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, চলতি মাসে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এবং নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি বা ঘন কুয়াশা এবং অন্য জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশা পরিস্থিতি কখনো কখনো দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
জানুয়ারি জুড়ে দেশের সব প্রধান নদ-নদীগুলোয় স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বিরাজমান থাকতে পারে। সূর্য গড়ে সাড়ে ৫ থেকে সাড়ে ৬ ঘণ্টা আলো দিতে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
আবহাওয়ার ফেব্রুয়ারি মাসের পূর্বাভাসে বলা হয়, এ মাসের প্রথমার্ধে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের উপর দিয়ে একটি মৃদু (৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস)/মাঝারি (৬-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
ডিসেম্বরে সারাদেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা কম (-৯৮.৮ শতাংশ) বৃষ্টিপাত হয়েছে। পশ্চিমা ও পূবালি লঘুচাপের প্রভাব না থাকায় সব বিভাগে স্বাভাবিক অপেক্ষা কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। ১৮-২৩ ডিসেম্বর রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে এবং যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। এসময় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় রাজারহাটে, ১৯ ডিসেম্বর।