নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
মেলবোর্ন থেকে সিডনি পৌঁছে কঠিন কোয়ারেন্টিনের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে অস্ট্রেলিয়া-ভারতের ক্রিকেটারদের। নিয়মের বালাই এতটাই কঠিন যে, জৈব নিরাপত্তা বলয় ভেঙে রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়ায় আইসোলেশনে যেতে হয়েছে ভারতের সহ-অধিনায়ক রোহিত শর্মাসহ পাঁচজনকে। জৈব নিরাপত্তা বলয়টা ব্রিসবেনে চতুর্থ টেস্টেও ধরে রাখতে চায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। এতে বিরক্ত সফরকারী ভারতের ক্রিকেটাররা। কোয়ারেন্টিনের কড়াকড়িতে হুমকি এসেছে সিরিজ বয়কটেরও!
সিরিজ খেলতে অস্ট্রেলিয়ায় নামার পর ১৪দিন কোয়ারেন্টিনের মধ্যে যেতে হয়েছে ভারতীয় দলকে। একই সফরে দু’বার কোয়ারেন্টিনে যেতে রাজি নয় ভারত দল। এ কারণে তারা ব্রিসবেনের বদলে সিরিজের শেষ টেস্টটি সিডনিতেই খেলতে চায়। ৭ ডিসেম্বর সিডনি টেস্ট শুরু হবে, ১৫ ডিসেম্বর ব্রিসবেনে যাওয়ার কথা দু’দলের খেলোয়াড়দের। সেই টেস্ট নিয়ে শুরু হয়েছে খানিকটা অনিশ্চয়তা। নিউ সাউথ ওয়েলসের সঙ্গে এরইমধ্যে কুইন্সল্যান্ড প্রদেশের সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এরমাঝে সেই প্রদেশে গেলে ঠাসা জৈব ব্যবস্থার মধ্যে থাকতে হতে পারে ক্রিকেটারদের।
অস্ট্রেলিয়ান গণমাধ্যমের খবর, কুইন্সল্যান্ডের সুরক্ষা বলয়কে বাড়াবাড়ি মনে করছেন ভারতীয় দলের সদস্যরা। টানা ছয় মাস সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে থাকতে থাকতে বিরক্ত তারা। হুমকিও নাকি দিয়েছেন বেশি কড়াকড়ি হলে ব্রিসবেন টেস্ট খেলবেন না ভারতীয়রা! যদিও এ বিষয়ে দলটি থেকে সরাসরি কোনো মন্তব্য পাওয়া না গেলেও বিসিসিআই’র এক ঘনিষ্ট সূত্র ফক্স স্পোর্টসকে জানিয়েছেন বলে জনপ্রিয় ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ লিখেছে, ‘আপনি যদি খেয়াল করে থাকেন, আমরা প্রায় ৬ মাস ধরে জৈব-সুরক্ষা বলয়ের মধ্যেই আছি। সিডনিতে আসার আগেও আমরা দুবাইয়ে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন করে এসেছি। আমারা বলতে চাচ্ছি, সিরিজের শেষে এসে আবারও লম্বা সময়ের জন্য সেই একই কাজ (কোয়ারেন্টিন) করতে চাচ্ছি না। ফের যদি নির্ধারিত দিন হোটেলবন্দী হয়ে কাটাতে হয়, তবে আমরা ব্রিসবেনে যেতে চাচ্ছি না। প্রয়োজনে আমরা অন্য কোনো ভেন্যুতে ম্যাচটি খেলতে রাজি আছি।’
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর কুইন্সল্যান্ড সরকার একটু যেন বিরক্ত। তাদের পক্ষ থেকে এর প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়েছে, ভারত দল যদি নিয়ম মানতে না-ই চায় তাহলে ব্রিসবেনে খেলতে আসার দরকার নেই! প্রদেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী রস বেটস বলেছেন, ‘ভারতীয়রা যদি নিয়ম না মানতে চায় তাহলে এখানে খেলতে আসার দরকার নেই।’ কুইন্সল্যান্ডের ক্রীড়ামন্ত্রী টিম ম্যান্ডারের কণ্ঠেও একই সুর, ‘ভারতীয়রা যদি কুইন্সল্যান্ডের কোয়ারেন্টিনের নিয়ম না-ই মানতে চায় তাহলে এখানে আসার দরকার নেই। কিন্তু সবার জন্য আইন একই থাকবে।’
সিডনির উত্তর প্রান্তে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির খবরের মাঝেই আজ নিউ সাউথ ওয়েলসে পৌঁছে গেছে দু’দল। গতকালও সিডনিতে আটজনের দেহে কোভিড-১৯ ভাইরাসের সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। সংক্রমণ বাড়তে থাকায় মেলবোর্ন টেস্ট শেষ হওয়ার পর সিডনি না গিয়ে কোয়ারেন্টিনে ছিলেন ক্রিকেটাররা। অজি ব্যাটসম্যান ম্যাথু ওয়েডও বলছেন ব্রিসবেনের কোয়ারেন্টিন সিডনির চেয়ে কঠিন হবে। তবে নির্ধারিত ভেন্যুতে খেলতে মুখিয়ে আছেন বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।