মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশের ম্যাচ এলাকার একটি কয়লা খনি থেকে ১১ জন শ্রমিককে অপরহরণের পর অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা গুলি করে হত্যা করেছে। নিহতরা সবাই হাজরা শিয়া মতাবলম্বীর জনাগোষ্ঠী। রোববার (৩ জানুয়ারি) এ খবর দিয়েছে অনলাইন এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
স্থানীয় পুলিশ বলেছে, অপহরণকারীরা শ্রমিকদের একটি কয়লা খনি থেকে তুলে নিয়ে যায় পার্শ্ববর্তী পাহাড়ে। সেখানে তাদেরকে গুলি করে হত্যা করে। কেউ কেউ মারাত্মক জখম হন। এসব শ্রমিককে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে ১০ জন খনি শ্রমিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে বলা হয়।
কিন্তু সহসা নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১ দাঁড়ায়। বোলান এলাকার উপ কমিশনার মুরাদ কাসি বলেছেন, আহত চারজনের চিকিৎসা চলছে। ঘটনার পর পরই ওই এলাকা ঘেরাও করে ফেলেছে পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন, ফ্রন্টিয়ার কন্সট্যাবুলারির লোকজন। নিহতদের লাশ আনতে কোয়েটা থেকে এম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে। এ হামলার কড়া নিন্দা জানিয়েছেন প্রাদেশিক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মীর জিয়া ল্যাঙ্গাউ।
তিনি বলেছেন, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে সব রকম ব্যবস্থাই নেয়া হবে। বেলুচিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্যাবোটাজ করার জন্য ব্যর্থ চেষ্টার অংশ এই হত্যাকান্ড। তিনি আরো বলেছেন, রাজ্যে কোনো রকম সন্ত্রাস গ্রহণযোগ্য নয়। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের কোনো বিবেক নেই।
এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এ হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি।
পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ডন অনলাইন জানিয়েছে, তাদের সবাইকে খুব কাছ থেকে গুলি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নিন্দা জানিয়েছেন।
২০১৯-এ বেলুচিস্তানের বুজি পাসে বিমান, নৌ ও কোস্টগার্ডের ১৪ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ঘটনাটি মাকরান মহাসড়কে ঘটে। পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের সাম্প্রতিক বছরে গুম, হত্যা, অপহরণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে। নিরাপত্তা বাহিনী অভিযানের সঙ্গে প্রায় সময় সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়।
প্রসঙ্গত, বেলুচিস্তানের রাজধানী কুয়েটায় ছয় লাখ শিয়া মতাবলম্বী হাজরা জনগোষ্ঠীর মানুষ দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন। সূত্র : সূত্র : আল-জাজিরা, এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।