পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এক বছর কোন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং অধিদফতর কি কি উন্নয়ন মুলক কাজ করবে, সেটার জন্য প্রতিবছর একটি অঙ্গীকারনামায় বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি করে আসছে। এ চুক্তি শুধু কাগজ কলমে হচ্ছে কিন্তু বাস্তবে এর বাস্তবায়ন খুবই কম।
২০১৯-২০ অর্থবছরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ ৯৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ কাজ বাস্তবায়ন করে শীর্ষস্থানে রয়েছে। সরকারি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কম হারে দিক দিয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় পিছিয়ে রয়েছে। এ মন্ত্রণালয় ৬৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ বাস্তবায়ন করেছে। এর আগের বছর ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে গত বছরও পিছিয়ে ছিলো গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) অর্জিত নম্বর প্রকাশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বাধীন জাতীয় কমিটির চূড়ান্ত করা নম্বর গত ২৯ ডিসেম্বর প্রকাশ করা হয়েছে।
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে সিনিয়র সচিব ও সচিবরা স্বাক্ষর করেন। মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো অধীনস্থ দফতর/সংস্থাগুলোর সঙ্গে এপিএ চুক্তি করে থাকে। চুক্তি অনুযায়ী বাস্তবায়ন পরিস্থিতি বিবেচনা করে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বাধীন জাতীয় কমিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ গুলোকে নম্বর দিয়ে থাকে। আগামী এক বছর মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো কি কি কাজ করবে, সেটার একটি অঙ্গীকারনামাই হচ্ছে এপিএ বা বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি।
এ বিষয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার এ বিষয়ে ফোনে কথা বলতে রাজি হননি।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (সংস্কার অনুবিভাগ) ড. শাহনাজ আরেফিন ইনকিলাবকে বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ ৯৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ কাজ বাস্তবায়ন করেছে। যে সব মন্ত্রণালয় বার বার সরকারে নীতি এবং উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে পিছিয়ে আছে তাদের নির্দেমনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নির্দেশে সেই মন্ত্রণালয় গুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া এবং কারণ জানতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সঠিক জবার দিতে না পারলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানা গেছে, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে সিনিয়র সচিব ও সচিবরা ২০১৫ সাল থেকে চুক্তি স্বাক্ষর করে আসছেন। সরকার প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং উন্নয়নে শতভাগ অর্জন করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ ৯৮ দশমিক ৯৭ নম্বর পেয়ে শীর্ষস্থানে রয়েছে। আর সবার চেয়ে সরকারে নীতি. প্রকল্প ও উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের হারে দিকে এবারো পিছিয়ে গেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। এ মন্ত্রণালয় এক বছরে ৬৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ কাজ বাস্তবায়ন করেছে। এখনো ৩৪ দশমিক ৪৫শতাংশ কাজ করতে পারেনি গত দুই বছরে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এবার কৃষি মন্ত্রণালয় করোনার মধ্যেও ৯৩ দশমিক ১৩ শতাংশ বাস্তবায়ন করেছে। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে অর্থ বিভাগ। এ মন্ত্রনালয় ৯১ দশমিক ৯০ শতাংশ কাজ বস্তিবায়ন করেছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বার্ষিক কর্মসম্পাদনের চুক্তির নম্বরের গড় ছিল ৮৪ দশমিক ০৪। এর আগের বছর (২০১৮-১৯) ৯৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ নম্বর নিয়ে শীর্ষে ছিল বিদ্যুৎ বিভাগ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে পর্যায়ক্রমে রয়েছে- পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ কাজ করেছে ৯১ দশমিক ০৯শতাংশ। করোনার সময় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ৯০ দশমিক ৯০ উন্নয়ন মুলক কাজ বাস্তবায়ন করেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় ৯০ দশমিক ৭৭ শতাংশ কাজ শেষ করেছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ৮৯ দশমিক ৮ কাজ শেষ করেছে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ৮৮ দশমিক ৬১শতাংশ কাজ শেষ করেছে। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় ৮৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় করোনার মধ্যে ৮৮ দশমিক ২৯ কাজ শেষ করেছে। সেতু বিভাগ এ বছর ৮৮ দশমিক ১০ উন্নয়ন মুলক কাজ বাস্তবায়ন করেছে। স্থানীয় সরকার বিভাগ ৮৮ দশমিক ০৫শতাংশ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করেছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ ৮৭ দশমিক ৫৯ উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন করেছে। সুরক্ষা সেবা বিভাগ ৮৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ। তথ্য মন্ত্রণালয় করোনার সময় ৮৬ দশমিক ২৫ শতাংশ সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করেছে। পরিকল্পনা বিভাগ ৮৬ দশমিক ১৮ শতাংশ। বিদ্যুৎ বিভাগ ৮৫ দশমিক ০৮শতাংশ। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় ৮৪ দশমিক ৯৮শতাংশ। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ৮৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ (৮৪ দশমিক ২২ শতাংশ এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ৮৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
এবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) অর্জিত নম্বর প্রকাশ করেছে। তালিকায় যে সব মন্ত্রণালয় রয়েছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ৮২ দশমিক ৯১, জননিরাপত্তা বিভাগ ৮২ দশমিক ০৫, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ ৮১ দশমিক ৯২, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ৮১ দশমিক ৭৭, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৮১ দশমিক ৭৬), যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ৮১ দশমিক ৩৩, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ৮১ দশমিক ১০, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ ৮০ দশমিক ৭০, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ৮০ দশমিক ৫৪, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ ৮০ দশমিক ৩৯, খাদ্য মন্ত্রণালয় ৮০ দশমিক ৩২, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় ৭৯ দশমিক ৮৪, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ ৭৯ দশমিক ৫০, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ৭৯ দশমিক ৩৮, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ৭৯ দশমিক ২২, রেলপথ মন্ত্রণালয় ৭৮ দশমিক ৮১, শিল্প মন্ত্রণালয় ৭৭ দশমিক ৭৬, ভূমি মন্ত্রণালয় ৭৭ দশমিক ৭৫, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৭৭ দশমিক ৪৩, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ৭৭ দশমিক ১৪, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ ৭৬ দশমিক ৯৫, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ ৭৬ দশমিক ৬২), ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ৭৫ দশমিক ৮৭, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ৭৫ দশমিক ৬৪, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ৭৫ দশমিক ১৭, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ৭৩ দশমিক ৮৫, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় ৭২ দশমিক ০৪, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ৭০ দশমিক ৭০, আইন ও বিচার বিভাগ ৬৬ দশমিক ০৯ এবং গহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ৬৫ দশমিক ৫৫।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছেুক এক অতিরিক্ত সচিব বলেন,বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) করার কারণে অনেক মন্ত্রণালয় ভাল কাজ করছে। আমার অনেক মন্ত্রণালয়ে উন্নয়নে টাকা লুটপাট করছে। আসল কাজ করছে না। নকল কাজ নিয়ে তারা বেশি কাজ করে। আবার অনেক অধিদপ্তর কাজ না করে শতভাগ বাস্তবায়ন দেখাচ্ছে। এ গুলো তদন্ত করা প্রয়োজন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।