বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিটি মেয়র আইভীকে উদ্দেশ্য করে শামীম ওসমান বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নাম বেঁচে আর শেখ হাসিনার ছবি বেঁচে ক্ষমতা ইনজয় করবেন, নৌকা মার্কা নিয়ে নেতাগিরি করবেন, জনপ্রতিনিধি হবেন। আর, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য আঘাত করবে, আপনারা মাঠে নামবেন না। অন্যদের সাথে বসে চা খাবেন, এটা তো হতে পারে না। আমরা চাই আপনারা মাঠে নামেন, নেমে অবস্থানটা পরিস্কার করেন। তাই আপনাকে দাওয়াত দিয়েছি। এখন আসলে আসবেন, না আসলে না আসবেন। আপনার ইচ্ছা।
আগামী ৯ জানুয়ারি ডাকা বিশাল সমাবেশকে সফল করতে বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে এক কর্মী সভায় কথা বলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। মহানগর আওয়ামীলীগের ১১ থেকে ১৮নং ওর্য়াডের নেতাকর্মীদের নিয়ে ওই সভাটি নগরীর রাইফেল ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মীসভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামীম ওসমান আরও বলেন, ‘বার একাডেমিতে পারভেজ ভাইয়ের মিটিংয়ের মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে কাগজে কলমে ঢুকে ছিলাম। এই যে শুরু হলো, ভাব ছিলাম সব কিছু ঠিক-ঠাক হয়ে গেছে, আর কেউ থাবা দিতে পারবে না। ২০২২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজনীতি ছেড়ে দিবো। কিন্তু এখন দেখি, সাপ-শকুনরা এখন আমার নেত্রীকে ছোবল দিতে চায়।’
শামীম ওসমান বলেন, এখন বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিশাল সংকট। কারো না কারো তো আওয়াজ তুলতে হবে। তাই আমিই তুলছি। দেখবেন, আমি নারায়ণগঞ্জ থেকে আওয়াজ তোলার পরে, সকলেই আওয়াজ তোলা শুরু করে দিবে। এখন বিদেশের মাটিতে বসে ‘আমাদের গর্ব, আমাদের অহঙ্কার বাংলাদেশ সেনাবাহিনী’র বিরুদ্ধে কথা বলছে প্রতিনিয়ত।
‘পুলিশ বাহিনী’ নিয়ে কথা বলছে, ‘বিজিবি’র বিরুদ্ধে কথা বলছে। অর্থাৎ, রাষ্ট্রের কাঠামোটাকে আঘাত করছে। এখন বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য হাই টাইম। তাই আপনাদের কাছে হাত জোড় করে বলছি, আগামী ৩ থেকে ৪ মাস আমরা সবাই এক মায়ের সন্তান হয়ে থাকবো।
শামীম ওসমান আরও বলেন, ‘আমি যে দিন কথা বলা শুরু করলাম, সেদিন থেকে বিদেশ বসে আমার বিরুদ্ধে কথা বলা শুরু হলো। আমাকে সরকার নাকি স্পেশাল ৬ জন নিরাপত্তা রক্ষী দিয়েছে। এরপর বললো, ‘আমি নাকি ৬ হাজার লোক ভারত থেকে এনে পাসপোর্ট দিয়েছি ট্রেনিং দেওয়ার জন্য’। আপনাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আমাকে ভারত থেকে লোক আনতে হবে না, আমার মা-বোনরা যদি খন্তি-বঠি নিয়ে পথে নামে, তাহলেই তো পাড় পাবেন না। আমরা তো রিজার্ভ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ মোহাম্মদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ্ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, মহানগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এস এম ওয়াজেদ আলী খোকন, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভূইয়া সাজনু, ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিউদ্দিন প্রধান, ১৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ নাজমুল আলম সজল, ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা রবিউল প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।