Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উত্তীর্ণ হয়েও মেডিক্যালে ভর্তি হতে পারেনি দিল্লির ২২ মুসলিম ছাত্রী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

নয়াদিল্লির জামিয়া নগরের একটি সরকারি বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করা ২৩ মুসলিম ছাত্রী এবছর সর্বভারতীয় মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা এনইইটিতে উত্তীর্ণ হলেও তাদের ২২ জনই কোনো মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির আবেদন করতে পারছেন না। মুসলিম মিররকে ওই ছাত্রীরা জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো র‌্যাংকিংয়ে সীমা নির্ধারণ করে দেয়ার কারণে কোনো সরকারি মেডিক্যাল কলেজে তারা ভর্তি হতে পারছেন না। অবশ্য বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে তাদের ভর্তির সুযোগ থাকলেও ওই প্রতিষ্ঠানগুলোতে অধ্যয়নে বিপুল খরচের কারণে তারা ভর্তি হতে পারবেন না। ২২ ছাত্রীর একজন মাদিহা বলেন, ‘আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য। তাদের ফি আমরা বহন করতে পারবো না।’ নয়াদিল্লির ওখলার ন‚রনগরের সরকারি সর্বোদয়া কন্যা বিদ্যালয় থেকে এই শিক্ষার্থীরা অধ্যয়ন করেন। এবছর দিল্লির সরকারি বিদ্যালয় থেকে সর্বভারতীয় মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা এনইইটিতে উত্তীর্ণ ৫৬৯ শিক্ষার্থীর মধ্যে তারা ছিলেন। অক্টোবরে দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী মনীষ সিসদিয়া এনইইটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের প্রশংসা করেন। তিনি ওইসময় নাম উল্লেখ করে নূরনগরের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যতিক্রমী ফলাফলের প্রশংসা করেন। উত্তীর্ণ ২৩ শিক্ষার্থীর একজন তাসনিম পারভীন দক্ষিণ দিল্লির সরকারি মীরাবাই পলিটেকনিকে বি. ফার্মায় ভর্তিতে সক্ষম হয়েছেন। কিন্তু বাকি ছাত্রীরা এ বছর ভর্তিতে ব্যর্থ হন। ওই ছাত্রীদের যথাযথ কোচিং ও পরের পরীক্ষায় আরো ভালো ফলাফলে সহায়তার জন্য এগিয়ে এসেছে জামিয়া কোঅপারেটিভ ব্যাংক। শীর্ষ ১০ ছাত্রীকে বেছে নিয়ে প্রতিজনকে ৪০ হাজার রুপি সহায়তা দিয়ে ভারতের শীর্ষ মেডিক্যাল কোচিং আকাশ ইন্সটিটিউটে ভর্তিতে সাহায্য করেছে ব্যাংকটি। আদিবা আলী, সাইজা আলী, বুশরা মিদহাত ও আরিবা তাদের মধ্যে অন্যতম। অন্যদিকে, বিদ্যালয়টির সাবেক অধ্যক্ষ ড. শাবানা নাদিম আরো দুই ছাত্রীকে আকাশে কোচিং করতে সহায়তা করেছেন। মুসলিম মিররের সাথে কথা বলতে গিয়ে জামিয়া কোঅপারেটিভ ব্যাংক ও ড. নাদিমের প্রশংসা করেন বিদ্যালয়ের উপ-অধ্যক্ষ মুদাসসির জাহান। বাকি ছাত্রীরাও আগামী এনইইটি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তারা অন্যান্য কোচিং সেন্টারগুলোতে ভর্তি হয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাদাফ রইস। মুসলিম মিরর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ২২-মুসলিম-ছাত্রী
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ