পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গতকাল মঙ্গলবার বাদ যোহর রাজধানীর আরামবাগে দেওয়ানবাগ দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগীর (৭০) নামাজে জানাজা শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের পেছনে উটের খামারে তার স্ত্রীর কবরের পার্শ্বে তাল লাশ দাফন করা হয়েছে। মরহুমের নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন তার বড় ছেলে ড. সৈয়দ এ এস এম নূর এ খোদা আল আজহারি। জানাজার পর মরহুমের লাশকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়। তার জানাজা উপলক্ষে ফকিরাপুল, আরামবাগের আশপাশের রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে প্রচুর যানজটের সৃষ্টি হয়।
সোমবার ভোরে নিজ বাসায় তিনি হ্নদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিলে ডাক্তার তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। দেওয়ানবাগ দরবার শরিফের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যানুযায়ী, তিনি ‘দেওয়ানবাগী’ নামে পরিচিত। ১৯৪৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম সৈয়দ আবদুর রশিদ সরদার। মা সৈয়দা জোবেদা খাতুন। ছয় ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। নিজ এলাকার তালশহর কারিমিয়া আলিয়া মাদরাসা থেকে ফাজিল পর্যন্ত পড়াশোনা করেন।
ফরিদপুরে চন্দ্রপাড়া দরবারের প্রতিষ্ঠাতা আবুল ফজল সুলতান আহমেদ চন্দ্রপুরীর হাতে বায়াত গ্রহণ করেন দেওয়ানবাগী পীর। এরপর তার মেয়ে হামিদা বেগমকে বিয়ে করেন দেওয়ানবাগী।
তার কিছুদিন পর নিজেই নারায়ণগঞ্জে দেওয়ানবাগ নামক স্থানে একটি আস্তানা গড়ে তোলেন এবং নিজেকে সুফি স¤্রাট পরিচয় দিতে থাকেন মাহবুব-এ-খোদা। হক্কানী আলেম ও মুসল্লিদের গণআন্দোলনের মুখে নারায়ণগঞ্জের বন্দরস্থ দেওয়ানবাগ থেকে তার আস্তানা উৎখাত হয়। একপর্যায়ে মতিঝিলের ১৪৭ আরামবাগে স্থায়ী দরবার গড়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন দেওয়ানবাগী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।