মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : সীমান্তে ভারতের শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে চীন। চীনা সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলা হয়েছে, ভারতের অরুণাচল প্রদেশে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করার নয়াদিল্লির সিদ্ধান্ত এ অঞ্চলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে। এর ফলে তিব্বত ও ইউনান প্রদেশে বড় ধরনের হুমকি সৃষ্টি হবে। চীনা সেনাবাহিনীর পক্ষে আরো বলা হয়, এ সিদ্ধান্তের ফলে দুই দেশের মধ্যে অস্ত্র প্রতিযোগিতা ও দ্বন্দ্ব বেড়ে যেতে পারে। উল্লেখ্য, চীনের আপত্তি সত্ত্বেও সীমান্ত সংলগ্ন ভারতের অরুণাচল প্রদেশে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করবে বলে নয়াদিল্লি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খবরে বলা হয়, চলতি মাসের প্রথম দিকে অরুণাচলে ব্রহ্ম ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনে একটি রেজিমেন্ট স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন দেয় ভারতের মন্ত্রিসভা। ক্ষেপণাস্ত্রের মান উন্নয়নে ব্যয় করা হয়েছে ৪ হাজার ৩০০ কোটির বেশি ভারতীয় রুপি। এদিকে অরুণাচল প্রদেশে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন নিয়ে চীনের ওই হুশিয়ারির জবাবে ভারতের সেনাবাহিনী স্পষ্ট করে দিয়েছে, এই সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে বেজিংয়ের আপত্তি কোনো প্রভাব ফেলবে না। সেনাসূত্রে একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে বলা হয়েছে, কোথায় আমাদের কতটা বিপদ ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ রয়েছে, তা একান্তই আমাদের নিজস্ব বিষয়। এই সমস্যা মোকাবিলায় আমাদের সাজসরঞ্জাম আমাদের এলাকায় কোথায় মোতায়েন করব, তা আমরাই ঠিক করব। নিজেদের এলাকায় আমরা সামরিক পরিকাঠামো কীভাবে গড়ে তুলব, তা অন্য কারুর উদ্বেগের কারণ হওয়া উচিত নয়। চীনের সামরিক বাহিনীর মুখপত্রে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে সম্প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়েছে, সীমান্তে ভারত সুপারসনিক মিসাইল মোতায়েন করছে। আর এই মোতায়েন ভারতের আত্মরক্ষার প্রয়োজনীয়তাকে ছাপিয়ে গিয়েছে। অরুণাচলের সীমান্তে ভারত যেভাবে বিপুলসংখ্যক সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল ভারত মোতায়েন করছে, তা চীনের দুটি প্রদেশ-তিব্বত ও ইউনানের জন্য বিপজ্জনক। প্রসঙ্গত, ভারত-রুশ যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বর্তমানে পৃথিবীর সেরা ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। ভূমি থেকে তো বটেই, যুদ্ধজাহাজ এবং সাবমেরিন থেকেও এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা যায়। ৩০০ কেজি পর্যন্ত ওজনের ওয়ারহেড বয়ে নিয়ে যেতে পারে এবং জল বা স্থলের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। বর্তমানে বায়ুসেনার সুখোই-৩০এমকেআই যুদ্ধবিমান থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার পরীক্ষা চলছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রের সাম্প্রতিক সংস্করণ নিয়ে একটি নয়া রেজিমেন্ট সাজিয়ে তোলার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। এরজন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪,৩০০ কোটি টাকা। ব্রহ্মস নিয়ে ইতোমধ্যেই সফলভাবে আকাশে ওড়ার পরীক্ষাতেও উতরে গিয়েছে ভারত। শব্দের বেগের চেয়ে প্রায় তিনগুণ গতি ব্রহ্মসের। এই ক্ষেপণাস্ত্রের আধুনিকতম রূপটিকে এখন দ্রুত তুলে দেয়া হচ্ছে সেনাবাহিনীর হাতে। হিমালয় বরাবর বিভিন্ন সীমান্তে তা মোতায়েন করা হচ্ছে। ব্রহ্মসের এই আধুনিকতম রূপটি অ্যাডভান্সড গাইডেন্স সিস্টেমে সমৃদ্ধ। ফলে পর্বতের আড়ালে লুকিয়ে থাকা লক্ষ্যবস্তুতেও চূড়ান্ত নির্ভুল আঘাত হানতে পারে ব্রহ্মস। সেনার নয়া রেজিমেন্টে থাকছে ১০০টি ক্ষেপণাস্ত্র, পাঁচটি লঞ্চার এবং হেভি ডিউটি ট্রাক। উল্লেখ্য, অরুণাচলে চীন-ভারত সীমান্ত নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন উদ্বেগ বাড়িয়েছে চীনের। ভারত সম্প্রতি বিভিন্ন নতুন রাস্তা তৈরি, পাহাড়ি উপত্যকায় এয়ারস্ট্রিপ তৈরির মাধ্যমে সীমান্ত প্রতিরক্ষাকে শক্তিশালী করছে। এরফলে সেনাবাহিনীর সীমান্তে যাতায়াত অনেক সহজ হয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়া, এবিপি, এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।