Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নতুন জোটের ইঙ্গিত!

চূড়ান্ত ইরান, তুরস্ক ও পাকিস্তান ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

কয়েকমাস আগে ইসলামিক দেশগুলোর সম্মেলনে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে আলোচনা প্রস্তাব দিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু, তাতে সাড়া দেয়নি সউদী আরব। এর জেরে সউদী আরবের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি। যার ফলে পাকিস্তানকে সবরকম সাহায্য দেয়া বন্ধ করে পাওনা টাকা ফেরত চায় রিয়াদ। এ নিয়ে টানাপোড়েনের জেরে পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে যে, ইসলামাবাদকে মুসলিম দেশগুলিকে নিয়ে আলাদা একটা আন্তর্জাতিক সংস্থা বানানোর পরামর্শ দেয় বেজিং। তারপর থেকেই তুরস্ক ও ইরানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মুসলিম দুনিয়ায় নতুন জোট তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে পাকিস্তান। এবার ইসলামাবাদ থেকে তেহরান হয়ে ইস্তাম্বুল পর্যন্ত রেল যোগাযোগ তৈরির বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম প্রতিবেদনে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সম্প্রতি তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইকোনমিক কর্পোরেশন অর্গানাইজেশন (ইসিও)-এর পরিবহন ও যোগাযোগ সংক্রান্ত বিভাগের ১০তম বৈঠক ছিল। তাতে যোগ দিয়ে ইস্তাম্বুল-তেহরান-ইসালামাবাদ (আইটিআই) পণ্যবাহী ট্রেন চালানোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান, তুরস্ক ও ইরানের পরিবহনমন্ত্রীরা।জানা গেছে, পাকিস্তান থেকে ইরান হয়ে তুরস্ক পর্যন্ত মোট সাড়ে ৬ হাজার কিলোমিটার রেললাইন পাতা হবে। এর মধ্যে ইরানে ২৬০০ কিলোমিটার, তুরস্কে ১৯৫০ কিলোমিটার ও পাকিস্তানে ১৯৯০ কিলোমিটার। এ প্রসঙ্গে তুরস্কের পরিবহন ও পরিকাঠামোমন্ত্রী আদিল কারা ইসমাইলগ্লু জানান, দীর্ঘদিন ধরেই সদস্য ১০টি দেশের মধ্যে কীভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত করা যায় তা নিয়ে আলোচনা চলছিল ইকোনমিক কর্পোরেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকে। সমুদ্রপথে যা সময় লাগে তার থেকে কম সময়ে পৌঁছনোর জন্য রেলপথ বা সড়কপথ তৈরিতেই নজর দেয়া হচ্ছিল। ২০০৯ সালে তুরস্ক থেকে ইরান হয়ে পাকিস্তান যাওয়ার পণ্যবাহী ট্রেনের বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল। সম্প্রতি হওয়া বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামী বছর থেকে কাজ শুরু হবে। সূত্র : ভারতীয় মিডিয়া।



 

Show all comments
  • শামসুল আলম ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ১০:১০ এএম says : 0
    সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ পাকিস্তান রয়েছে যাকে কেউ বিশ্বাস করে না। অনেক সম্ভাবনাই তাদের নষ্ট হয়ে গেছে। কারন সৃষ্টির সূচনা থেকেই সামরিক কর্তৃত্ব ও আধিপত্যের কারনে সে দেশে রাজনৈতিক, গণতান্ত্রিক কিংবা ইসলামী শরিয়ত ব্যবস্থার কোন বিকাশ ঘটেনি। দূরদর্শী কোন রাজনীতিক বা নেতৃত্বের বিকাশ ঘটেনি; দেশটি বর্তমানে নিজেই অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে। কুইনিন রোগ সারায়, কিন্তু কুইনিন সারাবে কে? সেনাবাহিনীর আইএসআই অন্যদেরকে শায়েস্তা করতে অসংখ্য সন্ত্রাসীগোষ্ঠি সৃষ্টি করেছে এবং পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে এসেছে; এখন চাইলেও সেখান থেকে তারা বেরোতে পারছেনা। উপরোন্ত সেনাবাহীনির কোন অনুশোচনা তো নেইই, তারা এখনো সিভিল প্রশাসনের উপর কর্তৃত্ব জারী রেখেছে। পছন্দনীয় ব্যক্তির বাইরে কাউকে ক্ষমতায় আসতে দিতে নারাজ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ট্রেন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ