নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
অভিষেকের পরের বছরেই পারফরম্যান্স ধরে রাখতে না পেরে দল থেকে বাদ পড়েছিলেন টিম পেইন। ৭ বছর পর টেস্ট স্কোয়াডে ফিরে একাদশে জায়গা পাকা হওয়ার আগেই অধিনায়কত্ব পেয়ে যান তিনি। এরপর আচমকা ঝড়ে দিক হারানো অস্ট্রেলিয়ার হাল ধরেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। তার হাত ধরেই সাদা পোষাকে নিজেদের নতুন করে মেলে ধরে অজিরা। তাই পেইনের অধিনায়কত্বেই আস্থা রাখছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধান কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার। যদিও নেতৃত্বের শুরুতে প্রত্যাশা অনুযায়ী সফল হতে পারেননি পেইন। তার অধীনেই ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ হারের লজ্জায় পড়ে অস্ট্রেলিয়া।
সেই সময় ‘ক্ষণস্থায়ী’ অধিনায়ক তকমাও তাঁকে পেতে হয়েছিল। তবে সবকিছু পেছনে ফেলে পেইনের নেতৃত্বেই ঘুরে দাঁড়ায় অস্ট্রেলিয়া। ২০০১ সালে স্টিভ ওয়াহর পরে প্রথম অধিনায়ক হিসেবে ইংল্যান্ডের মাটিতেও ‘অ্যাশেজ’ ধরে রাখেন। একই সঙ্গে টানা ‘পাঁচ’ টেস্টে হারিয়ে দেন নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানকে। দলের এমন খোলনালচে পরিবর্তনে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন এই অধিনায়ক।
দুর্দান্ত নেতৃত্বের সঙ্গে নিজের ব্যাটিং ও উইকেটের পেছনের ভ‚মিকা দিয়ে কোচের মন জয়ের সঙ্গে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ের মর্যাদা অর্জন করেছেন। এই প্রসঙ্গে ল্যাঙ্গার বলেন, ‘টিম পেইনের উপরে আমার প্রচুর আস্থা রয়েছে। তার ব্যাটিং, উইকেটরক্ষণ ও অধিনায়কত্ব সব কিছুই এর অন্তর্ভুক্ত। সে আমাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়ার আর এটি আমি প্রকাশ্যে ও ব্যক্তিগতভাবে গত বছরেই বলেছি। কারণ সে সময়ের অন্যতম সেরা উইকেটরক্ষক। একই সঙ্গে অধিনায়ক হিসেবে মাঠে ও মাঠের বাহিরে সমানভাবে দুর্দান্ত।’
‘বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি’ পুনরুদ্ধার মিশনের শুরুর দিবা-রাত্রি টেস্টে প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে বিপর্যয়ে পরেছিলো পেইন বাহিনী। সেখান থেকে চাপে ভেঙ্গে না পরে দলকে ব্যাট হাতে পথ দেখান তিনি। একই সঙ্গে প্রথম ইনিংসে বিপক্ষ দলের নিউক্লিয়াস বিরাট কোহলি রান আউটও হয়েছিলেন তার হাতেই। ল্যাঙ্গার আরো যোগ করেন, ‘অ্যাডিলেডে প্রথম ইনিংসে চাপের মুখেও ভেঙ্গে না পরে কিভাবে দলকে পথ দেখিয়েছে তা আমরা দেখেছি। এটির সঙ্গে বিরাট কোহলির রান আউট খেলায় পরিবর্তন এনেছে। সে (পেইন) একজন দুর্দান্ত খেলোয়াড় ও অধিনায়ক। আক্ষরিক অর্থেই আমি তাকে দলে পেতে ভালোবাসি।’
অধিনায়কত্ব পেয়ে ব্যাটসম্যান হিসেবেও বদলে গিয়েছেন পেইন। টেস্টে ক্যারিয়ার গড় ৩৩.৪৩ হলেও ভারতের বিপক্ষের সিরিজের আগের এক বছরে তার গড় ৪২.৭৫। এই সময়ে ৮ ম্যাচে তিনি ৩৪২ রান পেয়েছেন সঙ্গে ৩৯ টি ক্যাচ ও ২টি স্ট্যাম্পিং আছে তার ঝুলিতে। টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩২ টেস্টে ১৪০৪ রান করার পথে কোন সেঞ্চুরি না থাকলেও সর্বোচ্চ ৯২ রান ও ৮ টি অর্ধশতক রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।