পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অনেক আরব দেশে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছে। অনারব দেশও করছে। তবে এ ব্যাপারে বাংলাদেশ -পাকিস্তান রয়েছে ভিন্ন অবস্থানে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সুদান ও মরক্কো- গত কয়েক মাসে হোয়াইট হাউসের মধ্যস্থতায় ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে এ মুসলিম দেশগুলো। ইহুদী রাষ্ট্রটি চায় এবার এশিয় কোনো মুসলিম দেশের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে। দক্ষিণ এশিয় দেশগুলোর মধ্যে অন্যান্য রাষ্ট্রের ব্যাপারে তথ্য না দিতে পারলেও বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, ‘ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে আগ্রহী নয় বাংলাদেশ’।
ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা এ বার্তা সংস্থাকে বলেন, আমাদের অবস্থান একই রয়েছে। ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের বাংলাদেশের কোনো আগ্রহ নেই।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর পর আরও একটি মুসলিম রাষ্ট্রের সন্ধানে রয়েছে ওয়াশিংটন-জেরুজালেম। বিশেষ করে এশিয়ার কোনো মুসলিম দেশের সঙ্গে ধারাবাহিকতা দিয়ে পঞ্চম সম্পর্ক গড়তে আগ্রহী ইসরাইল ।
আগামী ২০ জানুয়ারি ট্রাম্প ক্ষমতা ছাড়ার আগে পঞ্চম মুসলিম দেশের সঙ্গে সম্পর্ক হবে কিনা জানতে চাইলে ইসরাইলের আঞ্চলিক সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী অফির আকুনিস তাদের স্থানীয় টেলিভিশনকে বলেন, আমরা সেই দিকেই কাজ করছি। আমি বিশ্বাস করি... শান্তিচুক্তির ভিত্তিতে আরেকটি দেশ ইসরাইলের সঙ্গে প্রকাশ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করছে, এ ধরনের একটি মার্কিন ঘোষণা আসবে।
ইসরাইলী এ মন্ত্রী জানান, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে পরবর্তী দুটি দেশ বাছাই করা হয়েছে। এসময় সরাসরি দেশ দুটির নাম উল্লেখ না করলেও তিনি বলেন, এর একটি হবে উপসাগরীয় দেশ, তবে সেটি সৌদি আরব নয়, বরং ওমান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আকুনিস বলেন, আরেকটি হবে আরও পূর্বাঞ্চলীয় দেশ। সেটি এমন কোনো মুসলিম দেশ হবে, যা খুব একটা ছোট নয়। তবে সেই দেশটি পাকিস্তান নয়।
এর আগে, গত সেপ্টেম্বরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বিবিসি বাংলাকে বলেছিলেন, তাদের সরকার নৈতিকতার জায়গা থেকে ফিলিস্তিনি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের পক্ষে রয়েছে এবং থাকবে। বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরিষ্কারভাবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বলেছেন, আমরা ফিলিস্তিনি জনগণের পক্ষে রয়েছি। আমরা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে। ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের সঙ্গে ইসরাইলের সম্পর্কবিহীন পথচলা অব্যাহত থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।