Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

১৩ মিনিটেই লন্ডভন্ড মোহামেডান!

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০২ এএম

ঘরোয়া ফুটবলের নতুন মৌসুমের শুরুতেই মোহামেডান-আবাহনী মর্যাদার লড়াই দেখলেন দেশের ফুটবলপ্রেমীরা। যে লড়াইয়ে ১৩ মিনিটে লন্ডভন্ড হয়ে গেল ঐতিহ্যবাহী ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। জিতল ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। গতকাল রাতে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ওয়ালটন ফেডারেশন কাপে ‘ডি’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচে আবাহনী ৩-০ গোলে মোহামেডানকে হারিয়ে শুভ সূচনা করেছে। বিজয়ী দলের হয়ে স্থানীয় মিডফিল্ডার জুয়েল রানা দু’টি ও আফগানিস্তানের মিডফিল্ডার মাসি সাইঘানি একটি করে গোল করেন। এ ম্যাচ জিতেই শেষ আট নিশ্চিত করে আবাহনী।
কাল ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দেয় আবাহনী। তাদের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ফুটবলারদের সামনে তারুণ্যনির্ভর মোহামেডানকে অনেকটাই অসহায় মনে হয়েছে। এ ম্যাচে আলো ছড়িয়েছেন জাতীয় দল ও আবাহনীর অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার রায়হান হাসান। তিনটি গোলের সবগুলোর উৎসই ছিলেন তিনি। তার লম্বা তিন থ্রো থেকেই জুয়েল রানা ও মাসি সাইঘানি গোলগুলো করেন।
ম্যাচের ৪০ মিনিটে রায়হান হাসানের লম্বা থ্রো থেকে আফগানিস্তানের মিডফিল্ডার মাসি সাইঘানি হেডে গোল করে আবাহনীকে এগিয়ে নেন (১-০)। ধারাবাহিক আক্রমণের মুখে ম্যাচের প্রথমার্ধে আরও এক গোল পায় আবাহনী। ৪৪ মিনিটে রায়হানের থ্রো থেকে বল পেয়ে ডি বক্সের মাথা থেকে মাসি সাইঘানি ব্যাকভলি নিলে মিডফিল্ডার জুয়েল রানা মাথা ছুঁইয়ে বল জালে পাঠান (২-০)। দুই গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে গেলেও আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি মোহামেডান। উল্টো ৫৩ মিনিটে আরেকটি গোল হজম করে তারা। এ সময় সেই রায়হান হাসানের লম্বা থ্রো থেকেই জুয়েল রানা ডান পায়ের শটে গোল করে ব্যবধান বাড়ান (৩-০)। মাত্র ১৩ মিনিটের ব্যবধানে তিন গোল হজম করে যেন খেই হারিয়ে ফেলে সাদাকালোরা। ম্যাচের বাকি সময় শত চেষ্টার পরও ব্যবধান কমাতে পারেনি তারা। ফলে বড় হারেই মৌসুম শুরু হলো মোহামেডানের।
এদিকে একই ভেন্যুতে বিকেলে অনুষ্ঠিত ‘এ’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র কষ্টের জয় পেয়েছে। তারা ১-০ গোলে হারায় বাংলাদেশ পুলিশ এফসি’কে। বিজয়ীদের পক্ষে একমাত্র জয়সূচক গোলটি করেন তাজিকিস্তানের ডিফেন্ডার সিভোভাস এসরোরভ।
ম্যাচের শুরু থেকেই সমান তালে লড়লেও প্রথমার্ধে গোল পায়নি কেউ। তবে শেখ রাসেলের ফরোয়ার্ডদের আক্রমণে ধার ছিল বেশি। তারপরও তারা এই অর্ধে ব্যর্থ হয়েছেন। প্রথমার্ধে পুলিশও বেশ ক’বার আক্রমণ চালিয়ে ব্যর্থ হয়। ফলে গোলশূণ্য অবস্থায় বিরতিতে যায় দু’দল। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোলের দেখা পায় শেখ রাসেল। ম্যাচের ৫০ মিনিটে কিরগিজ মিডফিল্ডার বখতিয়ার দুশোবেকভের ফ্রিকিক থেকে বল পেয়ে পায়ের আলতো ছোঁয়ায় বল জালে জড়িয়ে দেন সুযোগ সন্ধানী ডিফেন্ডার সিভোভাস এসরোরভ (১-০)। ম্যাচ জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে শেখ রাসেল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লন্ডভন্ড-মোহামেডান
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ