পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিসিএসসহ বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের ফাইনাল পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ। আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে এই পরীক্ষা। পরীক্ষা গ্রহণের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল বন্ধ রেখে পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্তের কারণে বিপাকে পড়েছেন তারা। বিশেষ করে যেসব শিক্ষার্থীর ঢাকায় থাকার কোন ব্যবস্থা নেই তাদের জন্য এটি দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলে দেয়ার জন্য আন্দোলন করছে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী ও শিক্ষার্থীরা। এই দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে ছাত্র সংগঠনগুলোও। গতকাল বৃহস্পতিবার ছাত্রদল ও প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামানের সাথে দেখা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলে দেয়ার দাবি জানান। এসময় তিনি বলেন, মহামারীকালে এক্ষেত্রে সরকারি সিদ্ধান্তের বাইরে যেতে পারছেন না তারা।
তিনি বলেন, প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে হল খুলতে জাতীয় সিদ্ধান্ত লাগবে। শিক্ষার্থীরা হল খোলার দাবি জানালেও বিচ্ছিন্নভাবে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি না।
শিক্ষার্থীদের সমস্যার বিষয়টি স্বীকার করে ভিসি বলেন, এই মহামারীতে শিক্ষার্থীদের এই কষ্টের চেয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি ও নিরাপত্তার বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে আমার দ্বিমত নেই। কিন্তু বিষয়টি হল এটি যদি স্বাভাবিক বন্ধ হত, তাহলে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারতাম। এই বন্ধটি হল প্যানডেমিক উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য বন্ধ। এখানে হঠকারী সিদ্ধান্ত নিলে বড় আকারে ঝুঁকি সম্ভাবনা আছে। কেউ কেউ মামলাও করতে পারে। আন্তর্জাতিকভাবেও কেউ প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে যে, জাতীয় সিদ্ধান্ত একরকম, আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত আরেক রকম।
তিনি বলেন, পুরো জাতিকে আমরা অন্যদিকে নিয়ে যেতে পারি না। কেউ এটাকে বলবে ট্রাম্পের মতো আচরণ। এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে হল খুলতে জাতীয়ভাবে সিদ্ধান্ত লাগবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মতামত লাগবে।
ছাত্রলীগ নেতারা অল্প সময়ে ঢাকায় শিক্ষার্থীদের বাসা ভাড়ার সমস্যা ও নারী শিক্ষার্থীদের অসুবিধার কথা তুলে ধরলে ড. আখতারুজ্জামান বলেন, নারী শিক্ষার্থীদের জন্য একটু অসুবিধা হবে। তবে আমরা আমাদের সহকর্মীদের বলেছি, শিক্ষার্থীদের সুবিধা-অসুবিধার কথা বিবেচনা করে তাদের মতামত নিয়ে পরীক্ষা নিতে। যাদের খুব সমস্যা, তাদের বিষয়ে সহযোগিতা করতে বলেছি।
পরে ছাত্রলীগ নেতারা বিষয়টি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে ভিসির সঙ্গে বৈঠক শেষ করেন। ভিসি তাদের দাবিকে স্বাগত জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে তা আলোচনার আশ্বাস দেন।
এর আগে আবাসিক হল খোলার দাবিতে ক্যাম্পাসে মিছিল-সমাবেশের পর স্মারকলিপি নিয়ে ভিসির কার্যালয় ঘেরাও করে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। পরে চার দফা দাবিতে ভিসির সঙ্গে বৈঠক করে স্মারকলিপি দেয় জোটের নেতারা। এসময় ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি মাসুদ রানা ও সাধারণ সম্পাদক নাসিরুদ্দিন প্রিন্স উপস্থিত ছিলেন।
প্রগতিশীল ছাত্রজোটের দাবির মধ্যে রয়েছে- ছাত্রলীগের দখলদারিত্ব মুক্ত করে প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় অবিলম্বে হল খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে, বেতন ফি মওকুফসহ অতিরিক্ত হারে সেশন ফি ও অন্যান্য ফি এবং জরিমানা নেওয়া বন্ধ করতে হবে, পরিবেশ পরিষদের সভা আহবান করে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করে পরীক্ষা নিতে গত ১৩ ডিসেম্বর ভিসিকে স্মারকলিপি দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। কিন্তু সেই দাবিতে সাড়া না দেখে বৃহস্পতিবার ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতারা ভিসির সঙ্গে দেখা করতে যান।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খোলার দাবিতে বুধবার সকাল ১১টা থেকে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে টানা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা-কর্মীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সেখানে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।