Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাণিজ্যে গতিশীলতায় শেড বরাদ্দ উপ-পরিচালকের বিরোধিতা

বেনাপোল বন্দর

বেনাপোল অফিস : | প্রকাশের সময় : ২৪ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

দিনের পণ্য দিনে আনলোড করার দাবিতে ভারতীয় শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকা ১ দিনের ধর্মঘটের পর পরই কাস্টমস কর্তৃপক্ষ তা বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। রাজস্ব ফাঁকি, বন্দরে ভয়াবহ পণ্যজট, ভারতীয় খালি ট্রাকের জট ও পণ্য চুরি নিরসনে গতকাল বুধবার এক অফিস নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। ফলে একদিনে ৪০০ ট্রাক পণ্য বন্দরে প্রবেশ করে আনলোড করে আবার ভারতে ফিরে যাওয়া সম্ভব বলে ব্যবসায়ীরা জানান। 

কাস্টমস’র এ অফিস নির্দেশনার বিরোধীতা করছেন বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন তরফদার। বন্দর ব্যবহারকারী ৫টি সংগঠন ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগ করেছেন। ফলে রাজস্ব আদায় ও বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম ভয়াবহ সঙ্কটের মুখে পড়তে যাচ্ছে। যদিও কাস্টমস’র এ ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন, ভারতীয় ও বাংলাদেশের বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনগুলো। কাস্টমস এর ডেপুটি কমিশনার এসএম শামীমুর রহমান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়, রাজস্ব আদায়ে স্বচ্ছতা আনতে ভারত থেকে আমদানিকৃত বাণিজ্যিক পণ্যচালান সংরক্ষণ, পরীক্ষা ও শুল্কায়ণ কার্যক্রম সহজ, দ্রুত পণ্য খালাশ, গুরুতর অভিযোগ ও চোরাচালান রোধে দেশের স্বনামধন্য ১২টি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও আমদানিকারদের জন্য বন্দরের ১০টি শেড, মোটর সাইকেল, টাটা গাড়ি, ও চ্যাসিস রাখার জন্য ৩১ নাম্বার শেড, পচনশীল পণ্যের জন্য টিটিআই, কেমিকেল জাতীয় পণ্যের জন্য ৫টি শেড, মেশিনারীর জন্য ১৪টি শেড, ও অন্যান্য পণ্যের জন্য ১৫টি শেড বরাদ্দ দেয়া হয়।
ভারত বাংলাদেশ চেম্বার অব কামার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর ডাইরেক্টর মতিয়ার রহমান জানান, রাজস্ব ফাঁকি, বন্দরে ভয়াবহ পণ্যজট, ভারতীয় খালি ট্রাকের জট ও পণ্য চুরি নিরসনে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ যে উদ্যোগ গ্রহণ করছেন তাতে অনিয়ম, রাজস্ব ফাঁকি বন্ধ হবে, দিনের পণ্য দিনে খালাশ নেয়া সম্ভব হবে। কাস্টমস এর এ ধরনের উদ্যোগকে শুধুমাত্র বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন তরফদার ব্যক্তিগতভাবে বিরোধিতা করায় বন্দরে অনিয়ম ও রাজস্ব ফাঁকি বাড়বে।
বেনাপোল সিএন্ড এফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, কাস্টমস কর্তৃপক্ষের এ উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। বন্দরে দীর্ঘদিনের অনিয়ম ও রাজস্ব ফাঁকি রোধে কাস্টমস এর উদ্যোগকে বন্দরের উপ পরিচালক মামুন তরফদার বিরোধিতা করে আসছে। ফলে সরকারের রাজস্ব আদায়ের স্বচ্ছ প্রক্রিয়াকে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে। একজন ব্যক্তির কারণে গোটা বন্দরের শৃঙ্খলা নষ্ট হবে এটা আমরা কখনই সমর্থন করি না।
বেনাপেল কাস্টমস হাউসের কমিশনার মো. আজিজুর রহমান জানান, বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে মিটিং করেই এ অফিস আদেশ জারি করা হয়। তাছাড়া বন্দর, কাস্টমস ও বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে বন্দর পরিদর্শন করা হয়েছে। হঠাৎ করে অফিস আদেশের বিরুদ্ধে বন্দরের উপ-পরিচালক অবস্থান নেয়ায় রাজস্ব আদায়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাণিজ্য

২৮ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ