পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সুপ্রিম সুডিসিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে বর্তমান সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনারদের পক্ষপাতিত্ব, দুর্নীতি স্বেচ্ছাচারিতাসন নানা অনিয়নের তদন্তের দাবি জানিয়ে ১৪ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্টকে চিঠি দেন দেশের বিশিষ্ট ৪২ জন নাগরিক। বঙ্গভবনে তাদের এমন চিঠি দেয়া নিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় শুরু হয়। সর্বমহল থেকে তাদের অভিযোগ তদন্তের দাবি জানানো হয়। তবে এখন পর্যন্ত অভিযোগের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বক্তব্য দেয়নি। তবে নির্বাচন কমিশনের সচিব বলেছেন, সামান্য প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তবে ইসি ও বিশিষ্ট নাগরিক দুই পক্ষই প্রেসিডেন্টের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন।
জানা গেছে, ৪২ নাগরিকের অভিযোগ নিয়ে প্রেসিডেন্টকে দেয়া চিঠির বিষয়টি নিয়ে কমিশনে এখনো কোনো বৈঠকও হয়নি। কয়েকজন কমিশনার বিষয়টি নিয়ে বিক্ষিপ্তভাবে মন্তব্য করেছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা গত রবিবার সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এটি প্রেসিডেন্ট দেখছেন, এ বিষয়ে আমার কিছু বলা ঠিক হবে না।’ অন্যদিকে অভিযোগকারী দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরাও তাঁদের পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি। তাঁদেরও প্রত্যাশা প্রেসিডেন্ট প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
প্রেসিডেন্টকে চিঠি দেয়া প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ইসির বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও অসদাচরণের অভিযোগ এনে বিএনপি নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। এই অপচেষ্টা হালে পানি পাবে না। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, অযোগ্যতা, ব্যর্থতা, দলবাজি ও দুর্নীতির কারণে গোটা জাতি ইসির অপসারণ চায়। ৪২ নাগরিকের চিঠিতে তার প্রমাণ রয়েছে।
কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম ও অসদাচরণের অভিযোগ এনে ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের’ মাধ্যমে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান বিশিষ্ট নাগরিকরা। গত ১৪ ডিসেম্বর চিঠি দেয়ার বিষয়টি গত ১৯ ডিসেম্বর এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন করে গণমাধ্যমকে জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় অভিযোগের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হবে। একই সঙ্গে বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়ার আগ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনারদের দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকতে অথবা নৈতিক কারণে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের আহ্বান জানান তারা। তবে এ আহ্বানে নির্বাচন কমিশনারদের সাড়া মেলেনি।
ইসির বিরুদ্ধে যে নির্বাচন কমিশনারের অভিযোগ বিশিষ্ট নাগরিকদের অভিযোগের তালিকায় স্থান পেয়েছে, সেই মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘গত কয়েক দিন বিষয়টি নিয়ে অন্য নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে আমার কোনো কথা হয়নি। আমি নিজেও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের একজন কর্মকর্তা সার্বিক এই বিষয় সম্পর্কে বলেন, সাড়ে তিন বছরে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অনেকের অনেক অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়নি। নির্বাচন সংক্রান্ত অনেক অভিযোগ আমলযোগ্য মনে হয়নি এ কমিশনের কাছে। নির্বাচন কমিশনের একজন সদস্যের অভিযোগও অগ্রাহ্য হয়েছে। এ অবস্থায় বিশিষ্ট নাগরিকদের এসব অভিযোগ কমিশনের কাছে আমলযোগ্য নাও হতে পারে।
গতকাল নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, ইসির বিরুদ্ধে ৪২ জন নাগরিকের প্রেসিডেন্টের কাছে আবেদনের বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। যেহেতু তারা প্রেসিডেন্টের কাছে আবেদন করেছেন, সেহেতু আমাদের আর কিছু বলার থাকতে পারে না।
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, ওই সব অভিযোগ-আবেদনের বিষয়ে আমি যা বলেছি তা আমার ব্যক্তিগত মতামত। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন কি না আমার জানা নেই। এর আগে গত রবিবার এ নির্বাচন কমিশনার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘সবচেয়ে যে বিষয়টি পীড়াদায়ক সেটি হচ্ছে, একদিকে প্রেসিডেন্টের কাছে অভিযোগ করলেন, আবার অন্যদিকে আমাদেরও অভিযুক্ত করে ফেললেন। শুধু সেটা নয়, আমাদের কী করণীয় বা দন্ড একঅর্থে সেটা দিয়ে দিলেন। এটা কতটা বিবেচনাপ্রসূত ও শিষ্টাচারবর্জিত কি না, সেটা আপনাদের ওপরই বিবেচনার ভার দিলাম। এসব অভিযোগের কোনোটির ভিত্তি আছে বলে আমি মনে করি না। এমন একটি বিষয় উপস্থাপন করা সুধীজনদের জন্য বিবেচনাপ্রসূত নয়।’
তবে ৪২ নাগরিকের অন্যতম ড. শাহদীন মালিক বলেন, পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়েও আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা আশা করছি, প্রেসিডেন্ট বিষয়টি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।