মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাকিস্তানে বিরোধী দল জমিয়তে উলেমায়ে ইসলাম-ফজলের (জেইউআই-এফ) উচ্চ পর্যায়ে মারাত্মক বিরোধ দেখা দিয়েছে। এ দলের নেতা মাওলানা ফজলুর রেহমানের নেতৃত্বাধীন বিরোধী ১১ দলীয় জোট পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (পিডিএম) ধ্বংস হবে বলে মন্তব্য করেছেন জেইউআই-এফের সিনিয়র নেতা মাওলানা মুহাম্মদ খান শেরানি। তিনি মাওলানা ফজলুর রেহমানকে মিথ্যাবাদী বলে আখ্যায়িত করেছেন। বলেছেন, বিরোধীদের এই জোট অস্বাভাবিক। তাদের কোনো আদর্শ নেই। তাই দ্রæতই এই জোট ভেঙে যাবে। কোয়েটায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন মাওলানা মুহাম্মদ খান শেরানি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
এতে আরো বলা হয়, জেইউআই-এফের কেন্দ্রীয় এই নেতা তার দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন। সমালোচনা করেছেন। বলেছেন, ফজল নিজেকে নিজেই ‘সিলেক্ট’ করেছেন। তার ভাষায়, তার সঙ্গে আমার মৌলিক এবং নীতিগত পার্থক্য হলো ফজল নিজে মিথ্যা কথা বলছেন। উল্লেখ্য, মাওলানা মুহাম্মদ খান শেরানি কাউন্সিল অব ইসলামিক আইডিওলোজির (সিআইআই) সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি বলেছেন, জেইউআই-এফ প্রধান অন্য সব প-িতজনকে মিথ্যা বলতে প্রলুব্ধ করেছেন। শুরু থেকেই আমরা তাদের দাঙ্গার বিরোধিতা করে আসছি। তিনি অভিযোগ করেন, জেইউআই-এফ সব সময় দলে নেতৃত্বের উত্তরাধিকারের বিরোধী। এটা দলীয় গঠনতন্ত্রের বিরোধী। এখন প্রকাশ্যে এর বিরোধিতা করা হচ্ছে। পিডিএমের সরকার বিরোধী প্রচারণা প্রসঙ্গে শেরানি বলেন, এটা একটা অপ্রাকৃতিক জোট। শিগগিরই এটা ভেঙে যাবে। কারণ, এর অংশীদার সবাই ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য লড়াই করছে। বিরোধী এই জোটে যেসব দল আছে, তাদের প্রত্যেকের আছে নিজস্ব স্বার্থ।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানে ক্ষমতাসীন পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ক্ষমতায়। তার সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছে পিডিএম। এ মাসের শুরুতে তারা সরকারকে পদত্যাগের জন্য ৩১ শে জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে। সরকার যদি তা না করে তাহলে তারা রাজধানী ইসলামাবাদমুখী লং মার্চ করবে। ওদিকে ৩১ শে ডিসেম্বরের মধ্যে পিডিএমের সব আইন প্রণেতাকে স্ব স্ব দলীয় প্রধানের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে। এর মাধ্যমে ইমরান খানের সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের পরিকল্পনা করেছে তারা। এর প্রেক্ষিতে শেরানি বলেছেন, পিডিএম এবং তার সঙ্গীরা দেশে একটি বিভাজনের পরিবেশ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে। তার ভাষায়, পিডিএমের হুমকিতে ভীত নয় প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকার। সরকার তার মেয়াদ পূর্ণ করবে এবং নতুন নির্বাচন দেবে। তিনি সরকারের প্রস্তাব মেনে নিতে পিডিএম নেতাদের প্রতি পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, সরকারের প্রস্তাব থেকে সুবিধা নেয়া উচিত তাদের এবং উমরাহ টিকেট নিয়ে পবিত্র মক্কা-মদিনা সফরে যাওয়া উচিত।
শেরানি অভিযোগ করেন পিডিএম জোটের দলগুলো মানুষকে শুধু বোকা বানাচ্ছে। তার ভাষায়, বিচারবিভাগ, পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন এবং মিডিয়ার স্বাধীনতার কথা বলেন পিডিএম নেতারা। তিনি প্রশ্ন করেন, এসব দলের ভিতর কি ন্যায়বিচার, স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্র রক্ষা করেন তারা নিজেরা? তাই মাওলানা ফজলুর রহমানের এমন কোনো অধিকার নেই ইমরান খানকে পদত্যাগ করতে বলার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।