মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেট দলের প্রার্থী ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের ১৪ হাজার ৯শ’ ই-মেইল ও তাতে যুক্ত ফাইল খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক আদালতের বিচারক। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, গত সোমবার প্রদত্ত বিচারকের এ আদেশের কারণে নতুন করে ই-মেইল বিতর্কে ফেঁসে যাচ্ছেন হিলারি। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকাকালীন ব্যক্তিগত ই-মেইল সার্ভার ব্যবহার করার অভিযোগ তদন্তে এফবিআই এসব ই-মেইল শনাক্ত করেছে। হিলারি ক্লিনটনের সব ই-মেইল প্রকাশ করার দাবি জানিয়ে একটি গোষ্ঠীর আইনি নোটিশের প্রেক্ষিতে গত সোমবার এ আদেশ দেন জেলা আদালতের বিচারক জেমস বোয়াসবার্গ। কনজারভেটিভদের পর্যালোচনা গ্রুপ জুডিসিয়াল ওয়াচ হিলারির ইমেইল প্রকাশের দাবি জানানোর একদিন পর বিচারক এ আদেশ দিলেন।
জুডিসিয়াল ওয়াচের দাবি, হিলারির ই-মেইলে দেখা যায় তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময় তাদের পারিবারিক দাতব্য সংস্থার দাতারা তার সাক্ষাৎ চেয়েছেন। বিচারক যে ১৪ হাজার ৯শ’ ই-মেইলের কথা উল্লেখ করেছে তাদের এর আগে স্টেট ডিপার্টমেন্টের কাছে হস্তান্তর করা ই-মেইল অন্তর্ভুক্ত নয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, এ সংখ্যার মধ্যে রয়েছে ব্যক্তিগত ও সরকারি কাজ সংশ্লিষ্ট ই-মেইল। এসব ই-মেইলের অনেকগুলো পাওয়া গেছে ক্লিনটন ও তার কর্মীরা যাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তাদের তথ্য। বিচারক আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর ই-মেইল প্রকাশ করার বিষয়ে শুনানির জন্য তারিখ ধার্য করেছেন। আবেদনকারীরা তা মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ৮ নভেম্বরের পূর্বে প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট হওয়ার লড়াইয়ে রিপাবলিকার প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে ৮ পয়েন্ট এগিয়ে রয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। তবে বিচারকের এ আদেশের পর হিলারির জনপ্রিয়তা কমে আসতে পারে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া যদি নির্বাচনে আগেই বিচারক ই-মেইল প্রকাশের রায় দেন তাহলে হিলারির জনপ্রিয়তায় বড় ধরনের ধস নামতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। গত ১৪ থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত চালানো জরিপে দেখা গেছে, এখন পর্যন্ত ৪২ শতাংশ মানুষ প্রেসিডেন্ট হিসেবে হিলারি ক্লিনটনকে সমর্থন করছেন। বিপরীতে ট্রাম্পকে ভোট দেবেন ৩৪ শতাংশ মানুষ। ২৩ শতাংশ ভোটার এ দু’জনের কাউকেই ভোট দেবেন না বলে জানিয়েছেন। আগের এক জরিপে ৪১ শতাংশ মানুষ হিলারির পক্ষে সমর্থনের কথা জানিয়েছিলেন। বাকি ৩৪ শতাংশ জানিয়েছিলেন তারা ট্রাম্পকে ভোট দেবেন। আর সাত শতাংশ জনগণ গ্যারি জনসনের পক্ষে সমর্থনের কথা জানিয়েছিলেন। রয়টার্স-ইপসস পৃথক আরেকটি জনমত পরিচালনা করে। এতে উত্তরাদাতাদের জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ক্লিনটন, ট্রাম্প, গ্যারি জনসন ও জিল স্টেইনের মধ্যে একজনকে পছন্দ করতে। এ জরিপের ফলে ৪১ শতাংশ ক্লিনটন, ৩৪ শতাংশ ট্রাম্প, জনসন ৭ শতাংশ ও ২ শতাংশ স্টেইনকে পছন্দ করেন। প্রচারণার সময় ২০১৬ সালের পুরোটা সময় জনমত জরিপে ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন হিলারি। জুলাই মাস থেকে হিলারির জনসমর্থন ৪১-৪৪ শতাংশে উঠানামা করেছে। আর ট্রাম্পের সমর্থন ছিল ৩৩-৩৯ শতাংশ। ফল প্রকাশ করা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প কিংবা হিলারি, কেউই মার্কিন ভোটারদের উৎসাহিত করতে পারছেন না। দুই-তৃতীয়াংশ প্রাপ্ত বয়স্ক মার্কিন নাগরিকরা মনে করেন, দেশ সঠিক পথে এগুচ্ছে না। নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিপক্ষে লড়ছেন হিলারি।রয়টার্স, ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।