পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক আমীর শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফীর (রহ.) স্বাভাবিক মৃত্যুকে হত্যাকান্ড আখ্যা দিয়ে একটি কুচক্রি মহল বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলামের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকসহ দেশের ৩৬ জন আলেম ওলামার নামে মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলা দায়েরের নিন্দা ও প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ১০১ জন খ্যাতনামা আলেম। গত ১৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আল্লামা আহমদ শফীর শ্যালক বাদি হয়ে আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যুকে অস্বাভাবিক ও হত্যাকান্ড দাবি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দেয়।
এক বিবৃতিতে আলেমরা বলেন, শাইখুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফীর (রহ.) এর মৃত্যু ছিল স্বাভাবিক। যা দেশবাসীর সামনে দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট। মাওলানা মামুনুল হকসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও চক্রান্তমূলক মামলা করেছে। এ মামলা জাতি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।
আলেমরা আরো বলেন, একটি মহল আল্লামা আহমদ শফীর জীবদ্দশায় তাঁকে ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছে। তারা আলেমদেরকে সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির ফায়দা হাসিল করতে চাচ্ছে। আলেম সমাজ ও ধর্মপ্রাণ মানুষ তাদের চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে।
আলেমরা আরও বলেন, আল্লামা আহমদ শফী (রহ.) এর মৃত্যু স্বাভাবিক হয়েছিল এটি একটি মীমাংসিত বিষয়। হাসপাতাল থেকে ইস্যুকৃত ডেথ সার্টিফিকেটেও তার মৃত্যুকে স্বাভাবিক বলা হয়েছে। এটা নিয়ে দীর্ঘদিন পর নতুনভাবে মামলা দায়ের করা জাতির কাছে প্রত্যাখ্যাত হওয়া জনবিচ্ছিন্ন একটি মহলের ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছু নয়। অনিতিবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। বিবৃতিদাতা আলেমরা হচ্ছেন, জামিআ মুহাম্মদিয়া আরাবিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবুল কালাম, জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহফুজুল হক, জামিআ ইসলামিয়া লালামাটিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা ফারুক আহমদ, জামিআ রাহমানিয়া আরাবিয়ার প্রধান মুফতি হিফজুর রহমান, জামিয়া কুরআনিয়া ঝাউতলা মাদরাসা চট্টগ্রাম এর প্রিন্সিপাল মাওলানা আলী উসমান, ফেনী শর্শাদি মাদরাসার শাইখুল হাদীস মাওলানা আফজালুর রহমান, জামিয়া জালালিয়া সিলেট এর প্রিন্সিপাল মাওলানা রেজাউল করিম জালালী ও মারকাজুল ফিকরিল কুরআন ঢাকা এর প্রিন্সিপাল মাওলানা খুরশিদ আলম কাসেমী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।