নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এক গোলের ব্যবধানে এগিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ, সমতায় ফিরতে মরিয়া এইবার- এমন সময় রিয়ালের ডি-বক্সে দলটির জাপানি রিক্রুট ইয়োশিনোরি মুতোর হেড থেকে বল সরাসরি লাগে সার্জিও রামোসের হাতে। পেনাল্টির জোর আবেদনও ওঠে; কিন্তু মেলেনি রেফারির সাড়া। অফিসিয়ালের অসহযোগিতার পরও গতপরশু রাতে লা লিগায় নিজেদের মাঠে চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে দারুণ লড়াই করেও ৩-১ গোলে হেরে গেছে এইবার। করিম বেনজেমার গোলে রিয়াল এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান বাড়ান লুকা মদ্রিচ। কিকে গার্সিয়া ব্যবধান কমানোর পর জমে ওঠে লড়াই। যোগ করা সময়ে জয় নিশ্চিত করেন লুকাস ভাসকেস।
তবে, ৮১তম মিনিটে এইবার পেনাল্টিটি পেলে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতে পারতো। শরীর থেকে রামোসের হাত ছিল দূরে। কিন্তু ঘটনাটি ভালোমতো যাচাই না করেই সিদ্ধান্ত দেওয়ায় ম্যাচ শেষে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এইবার কোচ হোসে লুইস মেন্দিলিবার। তার মতে, ওটা নিশ্চিত পেনাল্টি। ভিএআর সুবিধা থাকা সত্ত্বেও ভালোমতো তা কাজে না লাগানোতেই বেশি চটেছেন এই স্প্যানিয়ার্ড, ‘এসব কী হচ্ছে, আমাদের কোনো ধারণা নেই। এই সপ্তাহে প্রচুর হ্যান্ডবল হয়েছে এবং আমরা ঠিক জানি না, কখন তাদের শাস্তি পাওয়া উচিত আর কখন নয়। আজ (পরশু) একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো ২০ সেকেন্ডের মধ্যে, যেখানে স্বাভাবিকভাবে স্লাে-মোশন রিপ্লেতে দুই থেকে তিন মিনিট সময় লাগে।’
ডাগআউট থেকেও সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন মেন্দিলিবার। পরিস্থিতি শান্ত করতে ডাগআউটের কাছে গিয়ে তার সঙ্গে রেফারির কথা বলতে দেখা যায়। আগে থেকেই ভিএআর ব্যবহারের বিরুদ্ধে স্প্যানিশ এই কোচ। তার মতে, এই প্রযুক্তি হ্যান্ডবলের ধোঁয়াশা পরিষ্কার করতে কোনো কাজে আসছে না, ‘বল যে রামোসের হাতে লেগেছিল এটা পরিষ্কার। রামোস নিজেই তা বলেছে, কিন্তু আমরা জানি না কখন এই ঘটনায় শাস্তি হওয়া উচিত। আমার মনে হয় না, রেফারিরাও জানে। মৌসুমজুড়েই আমরা এই সমস্যায় ভুগছি। আর ভিএআর থাকুক বা না থাকুক, এই সমস্যা থেকেই যাবে।’
হ্যান্ডবলের বিষয়টা আরও পরিষ্কার হওয়ার দরকার বলে মনে করেন রিয়াল মাদ্রিদের দানি কারভাহালও, ‘এটা আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়, কিছু ঘটনায় সিদ্ধান্ত যৌক্তিকও মনে হচ্ছে না। এক্ষেত্রে মানদন্ডটি পরিষ্কার হওয়া দরকার, অন্যথায় আমরা যে কোনো সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করব।’ রিয়াল কোচ জিনেদিন জিদান অবশ্য আগের অবস্থানেই আছেন। রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্কে জড়াতে চান না তিনি, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এটা রেফারির কাছে পরিষ্কার ছিল। সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব রেফারির, আমি এ বিষয়ে কথা বলব না।’
জিজু কথা না বলতে চাইলেও সেটি পেনাল্টি ছিল কি না, তা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চলেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সেই তর্ক উষ্কে দিয়েছেন স্পেনের সাবেক রেফারি হুয়ান আন্দুজার অলিভার। অভিজ্ঞ এই অফিশিয়াল মনে করেন মাঠে রেফারি পেনাল্টি দিতে পারতেন। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মার্কা’কে অলিভারের ব্যাখ্যা, ‘মুতোর সামনে রিয়ালের সেন্টার ব্যাক তার শরীর ও কনুই নিয়ে গেছে। বল ও গোলের মাঝে জায়গা দখল করেছে। এইবারের পক্ষে পেনাল্টি দেওয়া উচিত ছিল।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।