Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পরিবেশ-জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে

ডামুড্যায় বেড়িবাঁধের ভেতর টয়লেট চাক্কি

শরীয়তপুর জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২১ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

ডামুড্যা পৌর এলাকার শহর রক্ষা বেড়িবাঁধের ভেতর স্থানীয়রা তাদের ব্যবহৃত শৌচালয়ের ট্যাংকির চাক্কি বসিয়ে নলের সাহায্যে উন্মুক্ত করে দিয়েছে। ফলে খালের পানিতে মানবসৃষ্ট বর্জ্য মিশে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, ডামুড্যা পৌরসভার ঋষিবাড়ি থেকে ঢালীবাড়ি পর্যন্ত বড় খালের দক্ষিণ পাড়ের শহর রক্ষার জন্য ১ কোটি ৯২ লাখ টাকার ব্যয়ে একটি বেড়িবাঁধ প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।
উক্ত বেড়িবাঁধ প্রকল্পের মধ্যে স্থানীয় লোকজন নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য তাদের বাড়ির টয়লেটের ট্যাংকি থেকে পাইপ বের করে খালের পাড়ের প্রকল্পের ভেতরে চাক্কি বসিয়েছে। এতেই তারা ক্ষান্ত হয়নি ওইসব লোকজন আলাদা পাইপ বসিয়ে ময়লা যাতে খালে ছড়িয়ে যায় তার বন্দোবস্ত করেছে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় দুই বাসিন্দা জানান, এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ যাতায়াত করে, ওই এলাকা দিয়ে যাবার সময় দুর্গন্ধে কাপড় দিয়ে নাক চেপে যাতায়াত করতে হয়। সেই সাথে ময়লা উপচে গিয়ে খালের পানিতে পড়ে পানি ও পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। এ বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে জানিয়েও কোন লাভ হয়নি বলে তারা জানান।
প্রকল্পের ঠিকাদার ও কনেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান বাচ্চু বলেন, এ কাজ শুরু হবার পর থেকেই স্থাপনকারীদের টয়লেটের চাক্কিগুলো সরিয়ে নিতে বলেছি। কিন্তু তারা আমার কথা শোনেনি তাই বাধ্য হয়েই চাক্কিগুলো মাঝখানে রেখেই বেড়িবাঁধের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। এতে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য যেমন হুমকি রয়েছে তেমনি বাঁধের জন্যও হুমকিস্বরূপ। ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মর্তুজা আল মুঈদ জানান, বিষয়টি দুঃখজনক। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ আসেনি। তবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পরিবেশ

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ