নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
অনেকটা অনুমিতই ছিল। বাকি ছিল কেবল আনুষ্ঠানিক ঘোষণার। সেটিও হয়ে গেল। হালের সেরা দুই তারকা লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে পেছনে ফেলে ফিফার বর্ষসেরা খেলোয়াড় খেতাব জিতে নিয়েছেন বায়ার্ন মিউনিখ ফরোয়ার্ড রবের্ত লেভান্দোভস্কি। এ দুই তারকার রাজত্ব ভেঙে প্রথমবারের মতো এ পুরস্কার জিতে নিলেন এ পোলিশ তারকা। গতপরশু রাতে সুইজারল্যান্ডের জুরিখে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ পুরস্কার তুলে দেয় ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। আর সেরা নারী খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির ইংলিশ তারকা লুসি ব্রোঞ্জ।
২০১৬ সালে ফিফার পুরস্কারটি নতুন করে চালু হওয়ার পর প্রথম দুইবার জিতেছিলেন রোনালদো। পরের বছর পান রিয়াল মাদ্রিদের ক্রোয়েশিয়ান তারকা লুকা মদ্রিচ। আর গত বছর এ পুরস্কার পান মেসি। জাতীয় দলের কোচ ও অধিনায়কের সঙ্গে সাংবাদিক ও ভক্তদের ভোটে এবার মেসি-রোনালদোকে পেছনে ফেলে এবার জিতে নেন লেভান্দোভস্কি। ফিফার বর্ষসেরা হওয়ার পর নিজের উচ্ছ্বাস গোপন করেননি লেভান্দোভস্কি, ‘এটা অসাধারণ অনুভ‚তি। আমি খুবই গর্বিত এবং খুশী। সত্যি বলতে কি এটা আমার জন্য অসাধারণ একটি দিন, আমার ক্লাব এবং সতীর্থদের জন্যও। এ পুরস্কার আমার সতীর্থ, কোচ এবং সর্বোপরি বায়ার্ন মিউনিখের প্রাপ্য। এটা সত্যিই আবেগময় মুহ‚র্ত।’
২০২০ সালটা অসাধারণ কেটেছে লেভান্দোভস্কির। চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্সে বায়ার্নের হয়ে লিগ, চ্যাম্পিয়নস লিগ, জার্মান কাপসহ ট্রেবল জয়ের অনন্য কীর্তি গড়েছেন তিনি। মূলত বায়ার্নের এমন সাফল্যের অন্যতম প্রধান নায়কই ছিলেন তিনি। বুন্দেসলিগায় সেরা গোলদাতা হওয়ার পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হন তিনি। লিগে ৩১ ম্যাচে করেন ৩৪ গোল। আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১৫টি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৭ ম্যাচে ৫৫ গোল করা গত মৌসুমের স্মৃতিচারণ করলেন লেভানদোভস্কি, ‘এ বছরটা সারা বিশ্বের জন্যই কঠিনৃ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে জেতা সবচেয়ে আলো ঝলমলে ব্যাপার ছিল... এমন একটা বিশেষ দিন এবং সন্ধ্যা, যা ছিল অবিশ্বাস্য অনুভূতি। এটা ছিল দারুণ মুহূর্ত। এরপর আমরা কাপ জিতলাম এবং সম্ভাব্য শিরোপাগুলো পেলাম। আমাদের দারুণ একজন কোচ, দল আছে এবং আমরা এক লক্ষ্য নিয়ে সবাই কাজ করি।’
সে তুলনায় মেসি ও রোনালদোর কারোই গত মৌসুমটা খুব ভালো যায়নি। মেসির ক্লাব বার্সেলোনা গত মৌসুমে থেকেছে শিরোপাশূন্য। যদিও ব্যক্তিগত নৈপুণ্য দেখিয়েছেন তিনি। লা লিগায় টানা সপ্তমবার সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে জিতে নিয়েছেন পিচিচি ট্রফি। এছাড়া জাভি হার্নান্দেজের সর্বোচ্চ অ্যাসিস্টের রেকর্ডও স্পর্শ করেন। অন্যদিকে রোনালদো অবশ্য জুভেন্টাসের হয়ে জিতেছেন সিরি আ শিরোপা। দলের সর্বোচ্চ গোলদাতাও তিনি। তবুও সময়ের সেরা দুই ফুটবলারের প্রতি শ্রদ্ধাই ঝরল তার কণ্ঠে, ‘এমন একটা পুরস্কার জেতা এবং মেসি ও রোনালদোর সঙ্গে ভাগাভাগি করা অবিশ্বাস্য। এটা আমার কাছে অনেক কিছু। মনে পড়ছে, অনেক আগে এটা পাওয়ার আকাক্সক্ষা ছিল আমার এবং এখন আমি এটা পেয়েছি। এর অর্থ হচ্ছে, আপনি কোথা থেকে এসেছেন, সেটা নয়, আপনি কি করেছেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ।’
উল্লেখ্য, এর আগে গত মে মাসে করোনার ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ফুটবল স্থগিত হয়ে যাওয়ায় ‘ফিফা দ্য বেস্ট-২০২০’ পুরস্কার চলতি মৌসুমে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। পরে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে তারা। অবশেষে দেওয়া হলো সম্মানজনক এ পুরস্কার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।