পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিজয় দিবসের ছুটিতে করোনা ভীতি উপেক্ষা করে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল নেমেছে। করোনাকালীন সময়ে দীর্ঘ সাড়ে তিন মাস হোটেল-মোটেল বন্ধ ছিল। ছিল পর্যটক যাতায়াতে কড়াকড়ি। এ কারণে চলতি বছর ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস, গত ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার সময় কক্সবাজার ছিল পর্যটক শূন্য। তবে ঈদুল আজহার পর থেকে প্রশাসন স্বাস্থ্যবিধি মেনে কড়াকড়ি শীতিল করলে কক্সবাজারে পর্যটক আসতে শুরু করে। এবারে বিজয় দিবসের ছুটিতে মৌসুমের প্রথম ব্যাপক হারে পর্যটক এসেছে কক্সবাজারে।
ফেডারেশন অব ট্যুরিজম ওনার্স এসোসিয়েশন সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজর শহরের সাড়ে ৪ শতাধিক আবাসিক হোটেল, ১৪০ টিরও অধিক রেস্টুরেন্ট, ২ শতাধিক ট্যুর অপারেটর অফিসসহ পর্যটন শিল্প নির্ভর প্রতিষ্ঠানগুলো এখন সরব। এর সাথে অর্ধশত পরিবহন সংস্থা ও বিমান পর্যটক পরিবহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
এছাড়াও স¤প্রতি ঢাকা থেকে কক্সবাজার-টেকনাফ পর্যন্ত উন্নত সড়ক যোগাযোগের কারণে পর্যটকরা কক্সবাজার আসতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করছেন। এতে করে কক্সবাজাররে বাড়ছে পর্যটক এবং সরকারের বাড়ছে রাজস্ব।
সাপ্তাহিক ছুটির সাথে বিজয় দিবসের ছুটিতে কক্সবাজারের পর্যটন স্পটগুলো সরগরম হয়ে উঠে হাজার হাজার পর্যটকে। গতকাল শুক্রবার কক্সবাজার সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টসহ পর্যটন স্পটগুলো ঘুরে দেখা গেছে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার হাজার হাজার পর্যটকের পদচারণা। স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে প্রশাসনের কড়াকড়ি থাকলেও বিষয়টি আমলে নিচ্ছেন না পর্যটকরা। অধিকাংশ পর্যটকের মুখে মাস্ক নেই।
সৈকতের লাবনী পয়েন্টে এই প্রতিবেদকের আলাপ হয় কয়েকজন পর্যটকের। একজন সরকারি কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে জানান, করোনায় তাদের পরিবারের অনেকেই কষ্ট পেয়েছেন। সুস্থতার পর তারা কক্সবাজার সৈকতে বেড়াতে এসেছেন।
ঢাকার আব্দুর রহমান ও সাঈদ নামের দুই ব্যবসায়ী বন্ধু আগে কক্সবাজার এলেও করোনা পরিস্থিতি শীতিল হওয়ার পর এই প্রথম কক্সবাজার এসেছেন। তাদের মতে সৈকতে ভ্রমণে আসা পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপার আরো কড়াকড়ি জরুরি।
ট্যুর অপারেটর নেতা তোফায়েল আহমদ বলেন, করোনাকালীন ক্ষতি পোষাতে তারা পর্যটকদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
পাঁচ তারকা হোটেল সীগালের সিইও ইমরুল হাসান রুমী বলেন, ভালো পর্যটক এসেছেন। পরিস্থিতি ভালো থাকলে হোটেল মোটেলগুলো তাদের করোনাকালীন ক্ষতি পোষিয়ে নিতে পারবে বলে আশা করছেন।
হোটেল-মোটেল-গেস্টহাউজ ওনার এসোসিয়েশন নেতা আলহাজ আবুল কাসেম সিকদার বলেন, করোনাকালীন লকডাউনে তাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পর্যটক আগমনের এই ধারা অব্যাহত থাকলে তাদের ক্ষতি কিছুটা হলেও পোষিয়ে নিতে পারবেন। তিনি আরো বলেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য তারা পর্যটকদের মাঝে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের এসপি জিল্লুর রহমান বলেন, পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও তাদের নিরাপত্তা বিধানের ব্যাপারে পুলিশ সচেতন রয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।