বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিজয় দিবসের ছুটিতে করোনা ভীতি উপেক্ষা করে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল নেমেছে। করোনাকালীন সময়ে দীর্ঘ সাড়ে তিন মাস হোটেল মোটেল বন্ধ ছিল এবং কক্সবাজারে পর্যটক যাতায়াতে ছিল কড়াকড়ি। একারণে গত বছর ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস, গত ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার সময় কক্সবাজার ছিল পর্যটক শুন্য। তবে ঈদুল আজহার পর থেকে প্রশাসন স্বাস্থ্য বিধি মেনে কড়াকড়ি শিথিল করলে কক্সবাজারে পর্যটক আসতে শুরু করে। এবারে বিজয় দিবসের ছুটিতে মৌসুমের প্রথম ব্যাপক হারে পর্যটক এসেছে কক্সবাজারে।
ফেডারেশন অব ট্যুরিজম ওনার্স এসোসিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজর শহরের সাড়ে ৪ শতাধিক আবাসিক হোটেল, ১৪০ টিরও অধিক রেষ্টুরেন্ট, ২ শতাধিক ট্যুর অপারেটর অফিসসহ পর্যটন শিল্প নির্ভর প্রতিষ্ঠান গুলো এখন সরব। এর সাথে অর্ধশত পরিবহন সংস্থা ও বিমান পর্যটক পরিবহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
এছারাও সম্প্রতি ঢাকা থেকে কক্সবাজার-টেকনাফ পর্যন্ত উন্নত সড়ক যোগাযোগের কারণে পর্যটকরা কক্সবাজার আসতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করছেন। এতে করে কক্সবাজাররে বাড়ছে পর্যটক এবং সরকারের বাড়ছে রাজস্ব।
সাপ্তাহিক ছুটির সাথে বিজয় দিবসের ছুটিতে কক্সবাজারের পর্যটন ষ্পটগুলো সরগরম হয়ে উঠে হাজার হাজার পর্যটকে। শুক্রবার কক্সবাজার সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টসহ পর্যটন ষ্পট গুলো ঘুরে দেখা গেছে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার হাজার হাজার পর্যটকের পদচারণা। স্বাস্থ্য বিধি নিয়ে প্রশাসনের কড়াকড়ি থাকলেও বিষয়টি থুড়াই পরোয়া করছেন পর্যটকরা। অধিকাংশ পর্যটকদের দেখাগেছে মুখে মাক্স ব্যবহারে শীতিলতা।
সৈকতের লাবনী পয়েন্টে এই প্রতিবেদকের আলাপ হয় কয়েকজন পর্যটকের। একজন সরকারি কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে জানান, করোনায় তাদের পরিবারের অনেকেই কষ্ট পেয়েছেন। সুস্থতার পর তারা কক্সবাজার সৈকতে বেড়াতে এসেছেন।
ঢাকার আব্দুর রহমান ও সাঈদ নামের দুই ব্যবসায়ী বন্ধু আগে কক্সবাজার এলেও করোনা পরিস্থিতি শীতিল হওয়ার পর এই প্রথম তারা কক্সবাজার এসেছেন। তাদের মতে সৈকতে ভ্রমণে আসা পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপার আরো কড়াকড়ি করা দরকার।
ট্যুর অপারেটর নেতা তোফায়েল আহমদ বলেন, করোনাকালীন ক্ষতি পোষাতে তারা পর্যটকদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
পাঁচ তারকা হোটেল সীগালের সিইও ইমরুল হাসান রুমী বলেন, ভালো পর্যটক এসেছেন। পরিস্থিতি ভালো থাকলে হোটেল মোটেল গুলো তাদের করোনাকালীন ক্ষতি পোষিয়ে নিতে পারবে বলে আশা করছেন।
হোটেল-মোটেল-গেস্ট হাউজ ওনার এসোসিয়েশন নেতা আলহাজ্ব আবুল কাসেম সিকদার বলেন, করোনাকালীন লকডাউনে তাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পর্যটক আগমনের এই ধারা অব্যাহত থাকলে তাদের ক্ষতি কিছুটা হলেও পোষিয়ে নিতে পারবেন। তিনি আরো বলেন স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য তারা পর্যটকদের মাঝে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
কক্সবাজার টুরিষ্ট পুলিশের এসপি জিল্লুর রহমান বলেন, পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও তাদের নিরাপত্তা বিধানের ব্যাপারে পুলিশ সচেতন রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।