পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর জুরাইন এলাকায় জাল টাকা ও ভারতীয় মুদ্রা রুপি তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অভিযান চালিয়ে জালনোট তৈরির পাইকারি ডিলার এবং খুচরা বিক্রেতা নারী-পুরুষসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলমের নেতৃত্বে ডিবি গুলশান বিভাগ এই অভিযান পরিচালনা করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- জাকির হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, বাদল খান, মালেক ফরাজী, জসিম উদ্দিন ও শিহাব। তাদের কাছে থেকে আসল ৪ লাখ ৫ হাজার টাকা, ২০ লাখ জাল ভারতীয় রুপি এবং ৩২ লাখ বাংলাদেশি জাল টাকা উদ্ধার করা হয়।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (গুলশান) ডিসি মো. মশিউর রহমান বলেন, গুলশান বিভাগের গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের এসি মহিউদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে এই চক্রকে অনুসরণ করে আসছিল। চক্রের বিভিন্ন সদস্য বাংলাদেশের বাগেরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে জাল টাকা তৈরি করতো। আসন্ন থার্টিফার্স্ট উপলক্ষে জাল রুপি এবং টাকার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ঢাকা মহানগরীর জুরাইন এলাকার শহীদ শাহাদত হোসেন রোডের একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে এ কাজ করা হচ্ছিল। গ্রেফতারকৃতদের সবার বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগরীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ডজন খানেক মামলা রয়েছে বলে জানান তিনি।
উদ্ধার জাল টাকা, জাল টাকা তৈরির সরঞ্জাম ও আসামিদের সম্পর্কে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ২০১৯ সালে এই চক্রের জাকির ও তার স্ত্রী ডেমরা থানা এলাকায় একটি অত্যাধুনিক বাসা থেকে জাল রুপি উৎপাদনকালে গ্রেফতার হয়েছিল। জাকির একজন কুখ্যাত ফিনিশার, হাতুড়ে ইঞ্জিনিয়ার এবং জাল টাকা ও রুপি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞানের অধিকারী। ওবায়দুল ও জসিম এই জাল টাকা তৈরির কারখানায় বিশেষ কাগজ, নিরাপত্তা সুতা তৈরি এবং অন্য কাজ করতো। বাদল ঢাকা, সাভার ও মানিকগঞ্জের পাইকারি ডিলার। শিহাব রাজধানীর পাইকারি ডিলার। সাগর নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের ডিলার।
তিনি জানান, বরিশালসহ দক্ষিণ অঞ্চলে জালনোট সরবরাহকারীদের মূল হোতা জামাল। এদের আছে এক শক্ত নেটওয়ার্ক, যার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জায়গার খোলা বাজার, বিপণি বিতান, যানবাহনের ড্রাইভার ও হেলপারদের কাছে ধোঁকা দিয়ে জাল টাকা বিক্রি করা হয়। তাদের কারখানা থেকে জাল টাকা এবং রুপি তৈরি করার মতো বিপুল পরিমাণ বিশেষ ধরনের কাগজ, নিরাপত্তা সুতা, বিভিন্ন ধরনের রঙ, কেমিক্যাল জব্দ করা হয়েছে। যা দিয়ে কয়েক কোটি জাল টাকা তৈরি করা যাবে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।