বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় আ.লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজমত আলী বাদি হয়ে সরিষাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সফিকুল ইসলাম, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুনসহ ৩২ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এতে বঙ্গবন্ধুর ছবি ও গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং গুলিবর্ষণের অভিযোগ আনা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলামের উদ্যোগে তারাকান্দি শহীদ মিনার চত্বরে বিজয় মঞ্চ তৈরির কাজ চলছিলো। একই সময় যুবলীগের একটি গ্রæপ আওনা ইউনিয়নের জগন্নাথগঞ্জ ঘাট থেকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে যমুনা সার কারখানা গেটপাড় এলাকায় প্রবেশ করে।
এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ খবরটি ছড়িয়ে পড়লে একপর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজন জড়ো হয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, গুলি বর্ষণসহ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে রামদা, হকিস্টিক, দেশিয় ও আগ্নেয়াস্ত্রের অস্ত্রের মহড়ায় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এসময় কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে বলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
এদিকে সংঘর্ষ চলাকালে তারাকান্দি শহীদ মিনার চত্বরের বিজয় মঞ্চ ও বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুরের চিত্র দেখা গেছে। এছাড়া মোটরসাইকেলসহ কয়েকটি যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও মালামাল লুটতরাজের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টাকালে তারাকান্দি তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মুহাম্মদ তরিকুল ইসলামসহ ৩ পুলিশ সদস্য আহত হন। এছাড়া উভয়পক্ষের আরো অর্ধ শতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজমত আলী জানান, উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুলের ইসলামের নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর, গুলিবর্ষনসহ বঙ্গবন্ধুর ছবি ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। অপরদিকে উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পাল্টা অভিযোগে দাবি করেন, বিজয় দিবস উপলক্ষে শহীদ মিনারে মঞ্চ তৈরির কাজ চলছিল। এসময় একটি পক্ষ মিছিল নিয়ে বিনা কারণে সেখানে হামলা চালায়। হামলাকারীরা কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। এতে আল মামুন, আবুল, ঠান্ডু, মিজান, হাফিজুর, সাকিব, সাত্তার ও স্বপন গুলিবিদ্ধ হয়। হামলাকারীরা গফুর, নুর নবী, কালাম, সুমন, সেলিম ও দিলসাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও মালামাল লুটতরাজ করে নিয়ে যায়। এসময় তারা কয়েকটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে।
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার ওসি আবু মো. ফজলুল করীম জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেও তিনি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।