মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : ধনকুবের হওয়া সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী ব্যয়ে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছেন। গত মাসে ট্রাম্পের প্রচার-শিবির নির্বাচনী প্রচার ব্যয় দ্বিগুণ বাড়ানোর পরও তা হিলারির প্রচার ব্যয়ের চেয়ে এখনো অনেক কম। বিবিসি জানায়, ট্রাম্প জুলাইয়ে ব্যয় করেছেন ১ কোটি ৮৫ লাখ ডলার। যেখানে হিলারির ব্যয় ছিল ৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার। হ্যাট তৈরিতে ট্রাম্প ব্যয় করেছেন ৪ লাখ ২০ হাজার ডলার। কিন্তু টেলিভিশনে প্রধান বিজ্ঞাপনগুলো শুরু করেছেন এ মাস থেকে। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফার্মগুলো অন্ততপক্ষে ৬৫ কোটি ডলার ঋণভারে জর্জরিত।
ওদিকে, নির্বাচনী প্রচারেও ট্রাম্পের আগের প্রচার ব্যয়ের তুলনায় এখনকার প্রচার ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। এমনকি ২০১২ সালে বারাক ওবামা ও মিট রমিনর নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাবেও তা কম। গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জুন মাসে মাত্র ৭৮ লাখ ডলার নির্বাচনী প্রচারে ব্যয় করেন ট্রাম্প। জুলাই মাসে তার দ্বিগুণের বেশি ১ কোটি ৮৫ লাখ ডলার ব্যয় করেন তিনি। জুলাই মাসে ট্রাম্পের প্রচার শিবির ৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার তহবিল সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়, যেখানে একইমাসে হিলারির তহবিল আসে ৫ কোটি ২০ লাখ ডলার। আগস্ট মাসে ট্রাম্পের প্রচার ব্যয় আরো বাড়বে। গত সপ্তাহে টিভি বিজ্ঞাপনে ট্রাম্প শিবির ব্যয় করেছে ৫ লাখ ডলার। তবে প্রায় দুই মাস আগে থেকে টেলিভিশন বিজ্ঞাপন শুরু করেছে হিলারির প্রচারশিবির এবং এ পর্যন্ত তাদের ব্যয় হয়েছে ৬ কোটি ডলার। হিলারির হয়ে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন প্রায় ৭০০ জন। যা ট্রাম্পের হয়ে প্রচার চালানো মানুষের সংখ্যার প্রায় ১০ গুণ বেশি।
এর আগে, রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচার শিবিরের চেয়ারম্যান পল মানাফোর্ট নির্বাচনী প্রচারের দায়িত্ব নেয়ার দু’মাসের মাথায় তিনি পদত্যাগ করলেন। গত জুনে ট্রাম্পের তৎকালীন প্রচার ম্যানেজার কোরে লিওয়ানডোস্কি বরখাস্ত হওয়ার পর দায়িত্ব নিয়েছিলেন মানাফোর্ট। ইউক্রেইনের রাশিয়াসমর্থিত সাবেক প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার খবর প্রকাশ পাওয়ার পর ৬৭ বছর বয়সী অভিজ্ঞ রাজনৈতিক কুশলী মানাফোর্টকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। তাছাড়া, ইউক্রেইনে রাশিয়াপন্থি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মানাফোর্টের সম্পৃক্ততার অভিযোগও সম্প্রতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও ঠিক কি কারণে তিনি ট্রাম্পের প্রচার শিবিরের প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন তা এখনো পরিষ্কার নয় বলে জানিয়েছে বিবিসি। বিবিসি, নিউইয়র্ক টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।