Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ইইউর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য চুক্তি হচ্ছে না!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ ডিসেম্বর, ২০২০, ৪:৫৪ এএম

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ব্রেক্সিট-পরবর্তী বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনে ব্যর্থতার জোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। শেষ মুহূর্তে উভয়পক্ষের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি করতে ব্রাসেলসে অবস্থান করছেন তিনি। সেখানে বৈঠকের পর প্রথমবার কথা বলতে গিয়ে তিনি আরও বলেছেন, এখন সময় প্রতিষ্ঠান ও মানুষের চুক্তি না হওয়ার বিষয়ে প্রস্তুতি নেওয়ার।
জনসন জানান, উভয়পক্ষের আলোচনা যা হয়েছে তাতে এখনো চুক্তি হওয়ার মতো কোনো অবস্থানে যাওয়া যায়নি। ৩১ ডিসেম্বর থেকে ইইউর বাণিজ্যনীতি মেনে চলা বন্ধ করবে যুক্তরাজ্য। ফলে একটি কার্যকর চুক্তিতে পৌঁছার সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। গত বুধবার ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লিয়েনের সঙ্গে বৈঠক করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। তবে তাদের আলোচনার বড় কোনো অগ্রগতি ঘটেনি। প্রকাশ্যে দুইপক্ষই যে যার অবস্থানে অটল রয়েছে। ফন ডেয়ার লিয়েন সময় নষ্ট না করে অবিলম্বে আলোচনা শুরু করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। জনসন চুক্তির জন্য চেষ্টায় কোনো ত্রুটি না রাখার ওপর জোর দিয়েছেন। তবে একাধিক ইইউ নেতা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, ইইউ ত্যাগ করার পরেও সদস্য থাকার সুবিধা পেতে হলে ব্রিটেনকে কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে। বুধবার সকালে বরিস জনসন বলেছিলেন, যেকোনো প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ইইউর চাপে ব্রিটেনের সার্বভৌমত্ব ছেড়ে দেওয়া সম্ভব নয়। একমাত্র ইইউ সেই দাবি ত্যাগ করলে ভালো চুক্তি হওয়া সম্ভব।
একই দিন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। জার্মান সংসদের নিম্নকক্ষে ভাষণে তিনি বলেন, ব্রিটেনের স্বার্থে ইইউর অভ্যন্তরীণ বাজারের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করে কোনো ঝুঁকি নেওয়া হবে না। ৪৫ কোটি ক্রেতা ও গ্রাহকের এই বাজারের নাগাল পেতে হলে ইইউর শ্রম, সামাজিক ও পরিবেশগত মানদণ্ড মেনে চলতে হবে।
এদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী অন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। তিনি ইতিমধ্যেই সিঙ্গাপুরের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করেছেন। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যকে একাধিক বাণিজ্য চুক্তি করতে দেখা যাবে। ব্রেক্সিট-পরবর্তী কয়েক বছর যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মন্দা গেলেও পরবর্তীতে তা আগের চেয়ে ভালো হবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। তাদের মতে, আখেরে ক্ষতি হবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের। কারণ, যুক্তরাজ্যহীন ইউরোপকে নতুন করে সব সাজাতে হবে। আর এতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়া ছাড়াও ন্যাটোর ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়বে। সূত্র : বিবিসি



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাজ্য-ইইউ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ