Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

স্বাধীনতার মাস বিজিএমইএ’র সাত প্রতিশ্রুতি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী সামনে রেখে এবং জাতির জনকের ১০০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিজিএমইএ ‘গো হিউম্যান গো গ্রীন’ উদ্যোগের আওতায় সাতটি প্রতিশ্রুতির ঘোষনা দিয়েছে।
গতকাল শনিবার বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক এর সভাপতিত্বে এক ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে বানিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজিএমইএ এর ৭টি প্রতিশ্রুতি উদ্বোধন করেন। ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রি পরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ পরিচালনা পরিষদ এবং সদস্যরা অংশ নেন।
বিজিএমইএ ঘোষিত সাত প্রতিশ্রুতি হচ্ছে- শ্রমিক ভাইবোনদের জন্য শিক্ষা; শ্রমিক ভাইবোনদের সন্তানদের প্রাক শৈশব শিক্ষা; মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন; আর্থ-সামাজিক এবং পরিবেশবান্ধব কার্যক্রম (সাসটেইনিবিলিটি), ফ্যাশন বিশ্বে রপ্তানি পণ্যে ঐতিহ্য উপস্থাপন; শ্রমিক ভাইবোনদের স্বাস্থ্যগত সুরক্ষা এবং দক্ষতা ও উদ্ভাবনী সক্ষমতার বিকাশ। বিজিএমইএ এর এই প্রতিশ্রুতিগুলোর মূল লক্ষ্যই হলো পোশাক শিল্পের প্রান, শ্রমিক ভাইবোনদেরকে সহায়তা করা এবং একটি আর্থ-সামাজিকভাবে উন্নত ও জীবন উপযোগি ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা।
বানিজ্যমন্ত্রী বিজিএমইএ থেকে শিল্পের জন্য উল্লেখিত সময়োচিত প্রতিশ্রুতিগুলো দেয়ার জন্য বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক ও তার বোর্ডকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের লড়াইয়ে বিজিএমইএ সরকারের পাশেই রয়েছে। তিনি পোশাক শিল্পকে তার মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দেন। মন্ত্রি পরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম উল্লেখিত উদ্যোগগুলো নেয়ার জন্য বিজিএমইএ সভাপতিকে ধন্যবাদ জানান।
বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক তার বক্তব্যে প্রতিশ্রুতিগুলোর বিষয়ে বলেন, পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা স্বতঃপ্রনোদিত হয়ে শ্রমিক ভাইবোনদের জন্য উচ্চতর শিক্ষার সুযোগ করে দিচ্ছেন। বর্তমানে মোট ৭০ জন নারী কর্মী সংশ্লিষ্ট কারখানা কর্তৃপক্ষের সহায়তায় চট্রগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ প্রোগ্রামের অধীনে স্নাতক পর্যায়ে অধ্যয়ন করছে। এছাড়াও কারখানার ডে কেয়ারে থাকা শ্রমিকদের শিশু সন্তানদেরকে অনলাইন শিক্ষা দানের জন্য বিজিএমইএ এবং জাগো ফাউন্ডেশন যৌথ উদ্যোগ নিয়েছে। বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ভালো থাকার সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়টি নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে। তাই, বিজিএমইএ মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ‘মনের বন্ধু’ এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এখন শ্রমিক ভাইবোনেরা ‘মনের বন্ধু’র মাধ্যমে আবেগ ব্যবস্থাপনা ও দক্ষতা বাড়ানো এবং মানসিকভাবে নিজেকে ভালো রেখে কিভাবে উৎপাদনশীলতা বাড়ানো যায়, সে বিষয়গুলোতে অনুপ্রেরণাময়ী পরামর্শ পাচ্ছেন।
ফ্যাশন বিশ্বে রপ্তানি পণ্যে ঐতিহ্য উপস্থাপনে বিজিএমইএ এর প্রতিশ্রুতি বিষয়ে ড. রুবানা বলেন, আন্তর্জাতিক ফ্যাশন বিশ্বে আমাদের নিজস্ব পদচিহ্ন এঁকে দিতে পারি, তবে সেটি হবে আমাদের এ শিল্পের জন্য একটি বিশাল মাইলফলক। এজন্য, বিজিএমইএ থেকে রপ্তানি পণ্যে ঐতিহ্য (যেমন জামদানি/তাঁতবস্ত্র) অথবা জার্সি’তে বাঙ্গালীর গর্ব রয়েল বেঙ্গল টাইগারকে উপস্থাপন করার জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পোশাক শিল্পের প্রতিযোগি সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে বিজিএমইএ কারখানাগুলোর জন্য উৎপাদনশীলতা, উদ্ভাবনী সক্ষমতার বিকাশ এবং পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে বলেও বিজিএমইএ সভাপতি বক্তব্যে উল্লেখ করেন। তিনি পোশাক শিল্পকে এগিয়ে নেয়ার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
একই অনুষ্ঠানে বানিজ্যমন্ত্রী বিজিএমইএ এর নতুন ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন। বিজিএমইএ এর সিনিয়র সহ-সভাপতি ফয়সাল সামাদ নতুন ওয়েবসাইটটি উপস্থাপন করেন। ফয়সাল সামাদ তার বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বিষয়ক রূপকল্পকে প্রাধান্য দিয়ে আরও বেশি সমৃদ্ধশালী করার জন্য এই ওয়েবসাইটটি সাজানো হয়েছে। এই ওয়েবসাইটটি পোশাক শিল্পের ব্র্যান্ডিং’কে সহায়তা করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিজিএমইএ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ